অধ্যাপক সাইদা হত্যা : গ্রেপ্তার আনারুলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আগের সংবাদ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ : নির্বাচন কমিশন গঠনে ৪ প্রস্তাব

পরের সংবাদ

আর কী চাই!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বন্ধুত্বের যোগ্যতা হারানোর সার্টিফিকেট যখন তুমিই দিলে, সেই থেকে খুব রাগ আর অভিমান সঞ্চয় করেছিলাম। যদিও ওসব ছিল মূল্যহীন। তখন যুদ্ধটা ছিল একান্ত নিজের সঙ্গেই, সময়ে-সময়ে নিজেকে সামলে নেয়ার। দিন, সপ্তাহ, মাস, বছরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমার রাগ-অভিমান একসময় শীর্ষবিন্দু স্পর্শ করল। তোমার প্রতি নেই কোনো আবেগ, অনুভূতি, অভিযোগ। একদমই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি। তোমার কথা মনেই পড়ে না বললে ভুল হবে না!
কয়েক বছর পর হঠাৎ খেয়াল করলাম তোমার প্রতি বড্ডরকম টান বেড়েছে। তাড়না বেড়েছে একবার দূর থেকে হলেও দেখার, এখন দেখতে কেমন হয়েছ তুমি? ঘুম থেকে উঠে কিংবা ঘুমাতে যাওয়ার আগে তোমায় ভেবে মন চঞ্চল হয়ে ওঠে। তোমার নাম ধরে ডাকতেও খুব ইচ্ছে করে বারবার। ততদিনে ভার্সিটিতে অ্যাডমিশন শেষে স্বপ্নভূমিতে পথচলার দুরন্ত গতি। ফলে একই শহরের দুই প্রান্তে দুজনের বসবাস। নিজে থেকে তুমি যতটা আলাদা হতে চেয়েছিলে, প্রকৃতি যেন আমাদের দূরত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সিএনজির পেছনের সিট, ব্যস্ত জ্যামে সড়কের মোড় কিংবা লোকাল বাস কোনটাতেই ভুল করেও দেখা হওয়ার সুযোগ নেই। কি অদ্ভুত পরিণতি আমাদের!
একসময় নিজের মাঝে ধারণ করা তাড়না আশপাশের এমন কিছু বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করলাম, যাদের সঙ্গে তোমার ভালোই খাতির রয়েছে। খুব সাপোর্ট দিল ওরা আমাকে। তোমার থেকে একদিন সময়ও চেয়ে নিল, তোমার ক্যাম্পাসে তোমার বন্ধুরা দেখা করবে বলে। যদিও ওদের তালিকায় তোমার অজান্তে একজন ‘আমি’ থেকে গেলাম।
তুমি ক্লাস শেষে বেরিয়ে এলে। কি আড্ডা-গল্পে মেতে উঠলে, মৃদু হাসির আলিঙ্গনে আপন করে নিলে তাদের। দূর থেকে আমি আইসক্রিম কেনার বায়নায় তোমাকে দেখে নিলাম কয়েক পলক। তুমি ঠিক আগের মতোই আছো। এখনো তোমার হাসি মনভুলানো, তোমার চাহনী ব্যাকুল করা, তুমি আসলে তুমিই। তোমার বন্ধুরা এবার আমাকে ডেকে নিল, পরিচয় করিয়ে দিল ‘ও আমাদের বন্ধু’ বলে। তুমি নির্বাক, অপলক আর স্তম্ভিত। আমারও তেমন কিছু করার নেই, কেমন আছো জিজ্ঞেস করার অধিকারও নেই, প্রয়োজনও নেই। মনে মনে তখন খারাপ লাগছিল, আরো কতক্ষণ কেন দূর থেকে তাকালাম না!
তুমি বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে করতে হাঁটছ, আমিও হাঁটছি পেছন ধরে। গেট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আমরা আবার ফিরেছি ক্যাম্পাসে। ভার্সিটির বাসে করে ছুটেছি এবার বাসার পানে। ভেতরে একটা হু হু ভাব। ক্যান্টিন থেকে নেয়া ধোঁয়া ওড়া শিঙ্গাড়া আর তৃপ্তির বদলে কিছু অদৃশ্য শূন্যতাকে সঙ্গী করে
ফিরলাম। তবে তুমি তো ভালো আছো, আর কী চাই!
:: এমসি কলেজ, সিলেট

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়