গ্যালারি কায়া : বাংলাদেশ-ভারতের শিল্পীদের নিয়ে ‘এপিক ১৯৭১’

আগের সংবাদ

স্বস্তির ভোটে আইভীর হ্যাটট্রিক : সব শঙ্কা উড়িয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট, শামীম ওসমানের কেন্দ্রে হেরেছে নৌকা

পরের সংবাদ

শেবাচিমে হৃদরোগীদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ : দরিদ্র রোগীরা বিপাকে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম কে রানা, বরিশাল থেকে : বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে গত ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেয়া রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ স্ট্রেপটোকিনাস ও এক্সাপেরিন সরবরাহ। ৫ হাজার টাকা করে প্রতিটি ইনজেকশনের দাম হওয়ায় অসহায় রোগীরা রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
প্রায় তিন মাস ধরে আপদকালীন ভাণ্ডারের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ পেলে রোগীদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও কবে নাগাদ ওষুধ পাওয়া যাবে তা জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সূত্রমতে, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আধুনিক হৃদরোগ বিভাগ চালু হয় ২০১১ সালে। এই ওয়ার্ডে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তির পর প্রথম ১২ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে সরবরাহ দেয়া হতো স্ট্রেপটোকিনাস নামে একটি ইনজেকশন। জরুরি এই ইনজেকশনের একটির মূল্য ৫ হাজার টাকা এবং আরেকটির মূল্য ৫০০ টাকা। একই সঙ্গে রোগীকে এক্সাপেরিন নামে দুটি ইনজেকশন দেয়া হতো। যার বাজারমূল্য ৫০০ টাকা করে মোট ১ হাজার টাকা। এতে আর্থিকভাবে উপকার পেতেন দরিদ্র রোগীরা।
কিন্তু গত বছরের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয়ভাবে মূল্যবান এসব ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরবরাহ বন্ধের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দরিদ্র রোগীদের অসহায়ত্ব বিবেচনায় আপদকালীন সংগ্রহ থেকে তাদের বিনামূল্যে ওই ওষুধ সরবরাহ করত। কিন্তু গত বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় আপদকালীন সরবরাহ থেকে মূল্যবান ওই ওষুধ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। এতে হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন দরিদ্র রোগীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। সময় মতো জীবন রক্ষাকারী জরুরি ওষুধ না পেয়ে বিপন্ন হয়ে পড়ছে চিকিৎসাধীন রোগীদের জীবন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর আগে ১০ শয্যা দিয়ে শুরু করা শেবাচিমের হৃদরোগ বিভাগে এখন পর্যন্ত শয্যা সংখ্যা না বাড়লেও গড়ে এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি থাকেন ৬৫ জন। কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, প্রতি মাসে এই ওয়ার্ডে রোগী মৃত্যুর হার ৮ থেকে ১০ ভাগ। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর বেঁচে থাকার জন্য ওষুধের জোগান দিতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠেছেন তাদের স্বজনরা। তাদের দাবি, হাসপাতাল থেকে জ্বর আর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দেয়া হয়। অন্য সব মূল্যবান ওষুধ নিজেদের টাকায় কিনতে হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকার

ওষুধ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু জীবন রক্ষাকারী জরুরি এসব ওষুধ কেন্দ্র থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকায় সেগুলো রোগীদের দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ পেলে রোগীদের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হবে। ওই ওষুধ সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে তাগাদা দেয়া হয়েছে। তবে কবে নাগাদ ওষুধ সরবরাহ পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত বলতে পারেননি তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়