গ্যালারি কায়া : বাংলাদেশ-ভারতের শিল্পীদের নিয়ে ‘এপিক ১৯৭১’

আগের সংবাদ

স্বস্তির ভোটে আইভীর হ্যাটট্রিক : সব শঙ্কা উড়িয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট, শামীম ওসমানের কেন্দ্রে হেরেছে নৌকা

পরের সংবাদ

বাণিজ্যমেলা প্রতিদিন : ফার্নিচারে নানা ছাড়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মাঝামাঝি সময়ে চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাড়ছে দর্শক সমাগম। আর দর্শকদের মেলামুখী করতে ব্যবসায়ীরাও আকর্ষণীয় অফারে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন। গতকাল শনিবার মেলার ১৫তম দিন বিপুল দর্শক সমাগম দেখা গেছে। মূলত, শনিবার এবং শুক্রবার এ দুইদিন মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থী মুখর থাকে। দিন যত যাচ্ছে বেচাকেনা তত বাড়ছে। বিশেষ করে বিলাসী পণ্যের মান ও দাম নিয়ে তেমন কোন অভিযোগ নেই। মেলায় ফার্নিচারের বেশ কয়েকটি প্যাভেলিয়ন রয়েছে। প্যাভেলিয়নগুলো নতুন ডিজাইনের নানান ফার্নিচার পণ্যে সেজেছে। শনিবার বাণিজ্য মেলায় দেখা যায়, ক্রেতা আকর্ষণ করতে এসব প্যাভেলিয়নে চলছে জমজমাট ছাড়ের অফার। তবে প্রচুর দর্শনার্থী থাকলেও ছাড়েও সাড়া মিলছে না তেমন।
পূর্বাচলের বাণিজ্যমেলা সফল করতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখনো মেলায় কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। পণ্য মূল্যে ছাড় দিয়ে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্যমেলায় ভবনের মূল প্রবেশ পথ পার হলেই বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন। এ প্যাভেলিয়নের বাম দিক দিয়ে পশ্চিম দিকে এগিয়ে হাতের ডান দিকে দেখা যায় ফার্নিচারের প্যাভেলিয়নগুলো। প্যাভেলিয়নগুলোর ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, সারি সারিভাবে সাজানো নতুন নতুন ডিজাইনের ফার্নিচার। এবারের বাণিজ্য মেলায় আকতার, নাভানা, ব্রাদার, হাতিল, নাদিয়া, নিউ এন্টিক, রিগ্যাল, পারটেক্স, হাতিম ছাড়াও বেশ কিছু ফার্নিচার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্যাভেলিয়নগুলোতে ফার্নিচার বাড়িঘরের মতোই সাজানো হয়েছে, যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে ফার্নিচার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নতুন এবং পুরাতন ডিজাইনের ফার্নিচার দর্শনার্থীদের দেখাচ্ছে। এসব প্যাভেলিয়নগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। কিন্তু ক্রয়াদেশ আশানুরূপ মিলছে না এখনো। তবে অংশগ্রহণকারীরা হতাশ নয়, মেলা শেষ হতে এখনো বাকি অনেক দিন। সামনের দিনগুলোতে ভালো ক্রয়াদেশ পাবেন বলে আশা করছেন তারা।
রাজধানীর মিরপুর থেকে মেলায় পরিবার নিয়ে এসেছেন তানিয়া জামান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছি। সঙ্গে প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যও কেনাকাটা করার উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, ফার্নিচারের দোকানগুলোতে বেশ ছাড় দেয়া হয়েছে শুনেছি। কিন্তু ফার্নিচারের প্যাভেলিয়নগুলো ঘুরে দেখলাম ছাড় দেয়ার পরেও দাম অনেক বেশি। তাতে মেলা থেকে ফার্নিচার কেনার যে ইচ্ছে ছিল, তা অধরাই থেকে গেলো। একই কথা বললেন ফার্নিচারের প্যাভেলিয়নে আসা আলেয়া ইসলাম। তিনি বলেন, মেলায় এসে ফার্নিচার দেখছি। দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো হয়েছে প্যাভেলিয়নগুলো। পছন্দ হলে আমার একটা সোফা কেনার ইচ্ছা আছে। তবে তিনিও অতিরিক্ত দামের অভিযোগ করেন।
ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নগুলোতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, মেলা ১৫দিন ধরে চলছে। দিন যত যাচ্ছে, দর্শনার্থীও বাড়ছে। কিন্তু ক্রয়াদেশ খুব কম। এর মধ্যে বাণিজ্য মেলায় আসা যাওয়ার পথে ভোগান্তি, প্রথম বারের মতো রাজধানীর বাইরে মেলা হওয়া ক্রয়াদেশ কম হওয়ার অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে মনে করছেন তারা। তবে এখনো মেলা শেষ হতে অনেক দিন বাকি। তাই সামনের দিনগুলোতে বেশ ক্রয়াদেশ পাবেন বলে আশা করছেন তারা। আকতার ফার্নিচারের সেলস এক্সিকিউটিভ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মেলার ১৫ দিন কেটে গেছে কিন্তু ক্রয়াদেশ খুবই কম। এবারের মেলা এদিকে যেমন নতুন স্থানে হচ্ছে, অপরদিকে দর্শনার্থীদের আসা যাওয়ায় রয়েছে নানা ভোগান্তি। এসব কারণে মেলায় ক্রয়াদেশ নিয়ে হাতাশ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। নাদিয়া ফার্নিচারের কর্মকর্তা মাহবুব রহমান বলেন, বাণিজ্য মেলা উপলক্ষ্যে আমাদের ফার্নিচারে ১৫ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়েছে। কিন্তু দর্শনার্থী দিন দিন বাড়লেও ক্রেতা কম। আমাদের সেবা গ্রাহক শহরের। আর ঢাকা থেকেই দর্শনার্থীদের আসতে সমস্যা হচ্ছে। তবে এখনো মেলা শেষ হতে অনেক দেরি। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে ক্রয়াদেশ বাড়বে। তিনি বলেন, বাণিজ্য মেলার স্থানটি খুব সুন্দর। কিন্তু ঢাকা থেকে আসার যাওয়ার পথে সড়কে অনেক ধুলাবালি থাকায় দর্শনার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। যদি আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি না থাকতো তাহলে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তো। তাতে ফার্নিচারের পণ?্য ক্রয়াদেশ বেশি থাকতো।

হাতিমের সহকারী ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, হাতিম এবারের মেলায় অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি শিশুদের জন্য নতুন ডিজাইনের খাট এবং টেবিলসহ নানা রকম ফার্নিচার নিয়ে এসেছে। যা খুবই আকর্ষণীয় ডিজাইনের। হাতিম শিশুদের জন্য যে ফার্নিচারের তৈরি করেছে, তা অন্য কোনো ব্রান্ড করতে পারেনি। মেলায় দিন দিন দর্শনার্থী বাড়ছে কিন্তু ক্রয় আদেশ তুলনামূলকভাবে কম। আশা করা যাচ্ছে মেলায় বাকি দিনগুলোতে ক্রয় আদেশ পাওয়া যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়