গ্যালারি কায়া : বাংলাদেশ-ভারতের শিল্পীদের নিয়ে ‘এপিক ১৯৭১’

আগের সংবাদ

স্বস্তির ভোটে আইভীর হ্যাটট্রিক : সব শঙ্কা উড়িয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট, শামীম ওসমানের কেন্দ্রে হেরেছে নৌকা

পরের সংবাদ

নার্স দিয়ে সিজার অপারেশন নবজাতকের মাথায় সেলাই! ফরিদপুরে বেসরকারি হাসপাতালের কাণ্ড

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মশিউর রহমান খোকন, ফরিদপুর থেকে : ফরিদপুরে আল-মদিনা নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে রুপা আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতি মায়ের সিজার অপারেশন করেছেন প্রশিক্ষণবিহীন এক নার্স। এ সময় নবজাতকের মাথাসহ শরীরের কয়েক জায়গা কেটে ফেলেন তিনি। এজন্য নবজাতকের মাথায় অন্তত ৯টি সেলাই করতে হয়েছে। প্রসূতি মায়ের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ এলাকায়।
গতকাল শনিবার সকালে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হাসপাতালটিতে প্রসূতি মায়ের সিজার করার সময় নবজাতকের মাথার কয়েক জায়গা কেটে ফেলেন ওই নার্স। ওই নার্সের নাম চায়না বেগম। পরে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকের মাথায় ৯টি সেলাই দেয়া হয়েছে। নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। পরে নবজাতকসহ মাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ না থাকলেও এর আগে ৫০ থেকে ১০০ জন গর্ভবতী নারীর সিজার ও ডেলিভারি করান ওই নার্স। তবে নার্স চায়না বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রশিক্ষণের কোনো সনদ দেখাতে পারেননি। একজন নার্স কোনো প্রসূতি মাকে সিজার

করতে পারেন কিনা এ নিয়ে ফরিদপুরে আলোচনার ঝড় বইছে!

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, স্বাভাবিক ডেলিভারি হতে পারত। তবে ওটির চার্জ পাওয়ার লোভে প্রসূতিকে সিজার করার জন্য তড়িঘড়ি করেন ওই নার্স। আমরা জানতাম ডাক্তার সিজার করবে। ওই নার্স সিজার করবে তা জানা ছিল না। আমরা ওই নার্স ও হাসপাতাল মালিকের বিচার চাই।
পরে খবর পেয়ে প্রাইভেট হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুল আলম, জেলা স্বাচিবের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. আব্দুল জলিল।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ হাসপাতালে এ রকম অনিয়ম হয় তা জানা ছিল না। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনার পর ওই হাসপাতালটির মালিক পলাশ মোল্যা (৪৫) ও অভিযুক্ত চায়না বেগম (৩৫) নামের ওই নার্সকে আটক করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালটির মালিক পলাশ ও নার্স চায়নাকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়