নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল ১৬ জানুয়ারি। এ নির্বাচনে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের আবুল কালাম সুজনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের প্রার্থী। প্রার্থী জাহিদুর রহমান শামীম অভিযোগ করে বলেন, আসন্ন নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। নির্বাচনে আমার প্রতিদ্ব›দ্বী উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম সুজন ভোটার শূন্য হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভার আইয়ুবপুর গ্রামে আবুল কালাম সুজন একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তাজুল ইসলামসহ ভোটারদের ঘরে ঘরে যান। এ সময় ভোটাররা তাদের প্রত্যাখ্যান করলে তারা কৌশলে ভোটারদের নতুন টাকা দিয়ে প্রভাবিত করেন। এ সময় ভোটাররা তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম সুজনসহ তার লোকজনকে ধাওয়া করলে তারা দ্রুত ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আবুল কালাম সুজন এবং সাবেক কাউন্সিলর তাজুল ইসলামের সঙ্গে টাকা দিয়ে ভোট কেনা নিয়ে স্থানীয় ভোটাররা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় এক যুবক ভিডিও করতে গেলে তাজুল ইসলাম বলেন, ছবি উঠাচ্ছেন কেন? তখন ওই যুবক বলেন, আপনারা টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন তাই। এরপরই এক পুরুষ ভোটারকে বলতে শোনা গেছে, আপনারা কেন টাকা দিচ্ছেন, টাকা দেয়া উচিত নয়! ২০০ টাকা করে কেন দিচ্ছেন? এ সময় ওই ভোটারকে সাবেক কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম হুমকি দিলে তিনি বলেন, আমাকে হাইকোর্ট দেখাইয়েন না। পরে তারা দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম সুজন বলেন, এই ভিডিওর কোনো সত্যতা নাই। প্রতিপক্ষ অপপ্রচার চালিয়ে আমার ভোট নষ্ট করতে চেষ্টা করেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার রবিউল আলম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।