সিদ্ধান্ত পরিবর্তন : শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলবে গণপরিবহন

আগের সংবাদ

উৎসব-উৎকণ্ঠার ভোট আজ : সবার দৃষ্টি নারায়ণগঞ্জে > আইভী-তৈমূরের লড়াইয়ে বাড়তি মাত্রা শামীম ওসমান

পরের সংবাদ

জয়পুরহাটে এবার গম চাষ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল, জয়পুরহাট থেকে : কম খরচ এবং দাম ভালো থাকায় গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে জয়পুরহাটের কৃষকদের। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি গম চাষ হয়েছে এ জেলায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২১-২২ রবি মৌসুমে ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষ হয়েছে ২ হাজার ৩৮৬ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৭ হাজার ৪১৫ টন গম। এ জেলায় মোট কৃষি জমির ৮০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেন কৃষকরা। কিন্তু আলুর দাম ঠিকমতো না পাওয়ায় জয়পুরহাটের কৃষকরা এখন গম চাষে ঝুঁকেছে। জয়পুরহাটের ৫টি উপজেলার মধ্যে পাঁচবিবি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে।
গম চাষিরা জানান, আলু তোলার পর মাঠে ইরি-বোরো আবাদে প্রচুর পানি থাকায় গম আবাদে অসুবিধা হয়। এজন্য গমের চাষ কম হয়। এবার আলু চাষ কিছু কম হওয়ায় চলতি মৌসুমে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমি গ্রামের কৃষক সজীব আহম্মেদ, বাবু, হাসান, আতোয়ার ও পাঁচবিবি উপজেলার মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ধানের জমিতে গম আবাদে সুবিধা হয়। সেচও খরচ কম লাগে। অন্য ফসলের তুলনায় রোগ বালাইও কম এবং গম তুলে সরাসরি অন্য যে কোনো ফসল চাষ করা যায়। তাই উঁচু জমিগুলোতে প্রতি বছরই আমরা গম আবাদ করি।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, জয়পুরহাটের মাটির গুণাগুণ বেলে ও দোঁআশ মাটি হওয়ায় গম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। অন্যান্য ফসলের তুলনায় গম চাষে খরচ কম ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের এখন গম চাষে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চলতি মৌসুমে গম চাষ সফল করতে মাঠপর্যায়ে জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় চলতি রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের প্রতিজনকে ২০ কেজি গমবীজ এবং এর সঙ্গে কৃষি উপকরণ হিসেবে সার ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি করে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়