চট্টগ্রাম অফিস : নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজারে মিলছে না স্বস্তি। ভরা মৌসুমেও সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের চড়া দামেই। সবজির সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও বাড়তে থাকা দাম কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মাছের বাজারও চড়া। ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১০ টাকা। ফলে আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয়ের বোঝা টানতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। পণ্যের বাড়তি দামে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।
বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে আসা চাকরিজীবী মিজানুর রহমান বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষ সবজি আর ডিম দিয়ে খেতে পারে। সেই সবজি-ডিমের দামও বাড়তি। আমরা কিভাবে সংসার চালাব। কোনো কিছুতেই আমরা সাধারণ মানুষ স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছি না। সব পণ্যের দামই আকাশ ছোঁয়া। এক হাজার টাকার বাজারে ব্যাগ ভরে না। আগে যে পরিমাণ টাকার বাজারে এক সপ্তাহ চালানো যেত, এখন একই পরিমাণ টাকার বাজারে তিনদিনও চলে না।
গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার নগরের চকবাজার, কাজিরদেউড়ি ও রিয়াজউদ্দীন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবুও আগের বাড়তি দরে প্রতি কেজি টমেটো ৩০ থেকে ৪০, শিম ও বেগুন ৪৫ থেকে ৫০, ফুলকপি ৩৫-৪০, গাজর ৪০, শসা ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০, পেঁপে ৩০, ব্রুকলি ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম কমছে না। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে এ সপ্তাহে বেড়েছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ১০৫ টাকায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হলেও এখন ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা, লেয়ার ২৩৫, সোনালি ২৭০ থেকে ৩শ’ ও দেশি মুরগি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৫৯ থেকে ৬০ টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, পারিজা ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা, নাজিরশাইল ৬৪ টাকা, বাসমতি ৬৯ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই সপ্তাহেও বাজারে মাছের দাম বাড়তি রয়েছে। প্রতি কেজি রুই-কাতলা ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ও টাকি ৩৩০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।