সিদ্ধান্ত পরিবর্তন : শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলবে গণপরিবহন

আগের সংবাদ

উৎসব-উৎকণ্ঠার ভোট আজ : সবার দৃষ্টি নারায়ণগঞ্জে > আইভী-তৈমূরের লড়াইয়ে বাড়তি মাত্রা শামীম ওসমান

পরের সংবাদ

অক্ষয়-রাবিনা প্রেমকাহিনী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অক্ষয়ের নামের জোরেই নাকি বলিউডের বহু সাদামাটা ফিল্মও উতরে গিয়েছে। তবে ‘সিধাসাধা’ অক্ষয়ের ওপর বলি ফিল্মের প্রযোজক বা পরিচালকরা ভরসা করলেও রাবিনা ট্যান্ডনও যে করেন, এমন কথা অতি বড় আশাবাদীও বলবেন না! তবে এক সময় ছবি অন্য রকমের ছিল। নব্বইয়ের দশকে বলিপাড়া কাঁপিয়ে দিয়েছিল অক্ষয় কুমার-রাবিনা ট্যান্ডনের জুটি। পর্দায় এবং অবশ্যই তার বাইরেও। অক্ষয়-রাবিনার রসায়ন নিয়ে সে সময় কম আলোচনা চলত না। এত বছর পরেও তা নিয়ে তর্ক জমে। অক্ষয় এবং রাবিনা দুজনেই নব্বইয়ের দশকে বলিউডে পা রেখেছিলেন। এক সময় তাদের জমাটি প্রেম নিয়ে বলিপাড়ায় কম গুঞ্জন ছড়ায়নি। এমনকি, আজো বলি-তারকাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠলে অক্ষয়-রাবিনার প্রসঙ্গ উঠে আসে। অনেকে বলেন, ‘মোহরা’র ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানের দৃশ্যায়নের সময় দুজনার রসায়ন চরমে উঠেছিল। সেটা ছিল ১৯৯৪ সাল। রাজীব রাইয়ের ওই ছবির পরেও একসঙ্গে কাজ করেছেন দুজনে। তবে ভক্তদের দাবি, ওই গানটিই অক্ষয়-রাবিনা জুটির ফিল্মি কেরিয়ারের সোনালি রেখা হিসেবে মনে থাকবে। তবে ফিল্মি পর্দার বাইরেও অক্ষয়-রাবিনার জুটি সুপারহিট হয়েছিল। বলিপাড়ায় গুঞ্জন ছিল, প্রেমপর্বের মাঝেই তা এক সময় বাগদান পর্যন্তও গড়িয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরে তা নিয়ে জল্পনাও চলেছিল। এক সময় বাগদানের কথা স্বীকারও করেন দুজনে। তবে আজ দুজনেই নিজের নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। টুইঙ্কল খান্নাকে বিয়ে করে চুটিয়ে সংসার করছেন অক্ষয়। অন্যদিকে অনিল ঠন্ডানির সঙ্গে ঘর পেতেছেন রাবিনা। তবে অক্ষয়-রাবিনা দুজনেই একে-অপরের সঙ্গে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন। এ কথা জানিয়েছেন দুজনেই।
কবে, কখন বা কোথায় বাগদান হয়েছিল? সেসব খোলসা না করলেও তাদের সম্পর্কের অনেক কথা জানিয়েছেন রাবিনা। তার সঙ্গে যে অক্ষয় গোপনে মন্দিরে বিয়ে সেরে নিতে চেয়েছিলেন, তাও স্বীকার করেছেন সংবাদমাধ্যমে। তবে তাদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়াল না কেন? ‘খিলাড়ি’ অক্ষয়কে নাকি একেবারেই ভরসা করা যায় না- এমনই দাবি রাবিনার। অনেকে বলেন, রাবিনার এমন দাবির পেছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। এক সময় রাবিনার কটাক্ষ ছিল, ‘অক্ষয়ের সামনে যে মেয়েই আসুন না কেন, তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসত। যে গতিতে ও এগোচ্ছে, তাতে মনে হয় মুম্বাইয়ের প্রতি তিন-চারটি মেয়ের বাবাকেই ওকে মা-বাবা বলে ডাকতে হবে।’ নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় সাসপেন্স-থ্রিলার ছবি ‘খিলাড়ি’তে কম খেলা করেননি অক্ষয়। তবে অনেকেই খোঁচা দিয়ে বলেন, ফিল্মি পর্দার বাইরেও অক্ষয় যে কত বড় খেলোয়াড় তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন রাবিনা। পরিচালকদ্বয় আব্বাস-মস্তানের ছবির নায়ককে সামাল দিতেই নাকি তাকে নাজেহাল হতে হয়েছিল। রাবিনার সঙ্গে প্রেমপর্বের মাঝেই একের পর এক নায়িকার সঙ্গে অক্ষয়ের নাম জড়িয়েছিল। পূজা বাটরা, শিল্পা শেট্টি, টুইঙ্কল খান্না। এমনকি ‘খতরোঁ কি খিলাড়ি’ ছবির সময় রেখার সঙ্গে অক্ষয়ের প্রেম নিয়ে রসালো আলোচনা চলতি বলিপাড়ায়। যদিও রাবিনার দাবি, ‘আমার মনে হয় না, অক্ষয়ের সঙ্গে রেখার সম্পর্ক ছিল। উল্টে রেখার থেকে দূরে পালাত অক্ষয়। ওই ফিল্মের জন্যই রেখাকে সহ্য করতে হতো। এক সময় তো অক্ষয়ের জন্য বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন রেখা। সে সময়ই আমি বাধা দিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, (রেখা) বড্ড বাড়াবাড়ি করছেন।’
অক্ষয় সম্পর্কে অনেকেই বলেন, ‘ক্যাসানোভা’ শব্দটা যেন ওর সমার্থক। সাধে কি আর রাবিনা বলেন, ‘কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকাটাই আসল। আমার কাছে সেটাই বড় ব্যাপার। তবে অক্ষয়ের কাছে এসবের কোনো মূল্য নেই। ও আশা করে, প্রতিবারই আমি ওকে মাফ করে দেব। প্রায় তিন বছর ধরে সে রকমই করে এসেছিলাম। তবে শেষের দিকে আর নিতে পারছিলাম না!’ তবে কয়েক বছরের প্রেম হলেও অক্ষয়-রাবিনার সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পেতে চেয়েছিল। নারী ভক্তদের কাছে যাতে তার জনপ্রিয়তা কমে না যায়, সে জন্য তাদের বিয়ের কথা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন অক্ষয়। এমন দাবিও করেছেন রাবিনা। তাতেও রাজি হয়েছিলেন তিনি। বেশ সাদামাটাভাবে বাগদানের অনুষ্ঠান হয়েছিল অক্ষয়-রাবিনার। রাবিনা বলেন, ‘আচমকাই ঠিক করেছিলাম, বাগদানের অনুষ্ঠান করব। এমন একজনের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল, যাকে আমি চিনি, জানি। আমিও সব ছেড়েছুড়ে সবার মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চেয়েছিলাম। বিয়ের আগে থেকেই অভিনয় ছেড়ে দেব বলেও স্থির করেছিলাম।’
একটি মন্দিরে তাদের বাগদানের অনুষ্ঠান হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রাবিনা। ওই অনুষ্ঠানের কথা যাতে ঘুণাক্ষরেও পাঁচকান না হয়, সে জন্য দুজনের পরিবারের সদস্য ছাড়া কেউ আমন্ত্রিত ছিলেন না। রাবিনার কথায়, ‘কোনো জাঁকজমক নয়, বেশ ছিমছাম অনুষ্ঠান হয়েছিল। মন্দিরের পুরোহিত পুজোটুজো করছিলেন। অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমার আর অক্ষয়ের পরিবার দিল্লি থেকে এসেছিল। অক্ষয়ের পরিবারের একজন বয়স্ক মানুষ তো আমার মাথায় দোপাট্টা বেঁধে দিয়েছিলেন। হয়তো তিনি ভেবেছিলেন, আমাদের বিয়ে হচ্ছে!’ বাগদান সত্ত্বেও বিয়ে করেননি। অক্ষয় এবং রাবিনার দুজনেই সে দাবি করেছেন। এ নিয়ে দীর্ঘ দিন চুপ ছিলেন অক্ষয়। এক সময় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমার এবং রাবিনার কেবলমাত্র বাগদান হয়েছিল। যা পরে ভেঙে যায়। কিন্তু মাফ করবেন, আমরা কখনই বিয়ে করিনি!’ বিয়ে পর্যন্ত না গড়ালেও দুজনের মধ্যে তিক্তটা ছিল না বলে দাবি অক্ষয়ের। তিনি বলেন, ‘রাবিনার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও আমরা দীর্ঘ দিন একসঙ্গে কাজ করেছি।’
:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়