নির্বাচনী আইন প্রণয়নসহ ৫ দফা প্রস্তাব এনপিপির

আগের সংবাদ

বদলে গেছে ‘প্রাচ্যের ড্যান্ডি’

পরের সংবাদ

সাকরাইন উৎসব : নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আতশবাজি বিক্রি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রকি আহমেদ : রাঙা সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আজ শুক্রবার শুরু হবে রং-বেরংয়ের ঘুড়ি উড়ানোর ধুম। পৌষ মাসের শেষ দিন কুয়াশার আকাশে ঘুড়ি উড়ানো ও নানা আয়োজনের এই সাকরাইন উৎসবকে ঘিরে পুরান ঢাকাসহ প্রস্তুত পুরো রাজধানী। বাসার ছাদ সাউন্ড-সিস্টেম, আলোকসজ্জা ও লাইটিং করে সাজানো হচ্ছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পৌষ সংক্রান্তি পালন করে থাকলেও এটা এখন বাঙালি সংস্কৃতির ধারক হিসেবে সব ধর্মের মানুষ পালন করে থাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার অলিগলিতে দেখা গেছে ঘুড়ি বেচাকেনার ধুম। তরুণ-তরুণীরা মেতে উঠে পছন্দের ঘুড়ির নাটাই ও সুতোর টানে। বাহারি রংয়ের ঘুড়ির রয়েছে বাহারি নাম। চিল ঘুড়ি, বাদুড় ঘুড়ি, ময়ূর ঘুড়ি, চাঁনতারা, পাঞ্জাব, চোখদার, পানদার, কথাদার, মালাদার, পঙ্খিরাজ, চলনদার, পেটিদার, পাংদার, প্রজাপতি, দাপসসহ নানা নামে, নানা নকশার ঘুড়ি সাজানো রয়েছে শাঁখারীবাজার, কলতাবাজার, সূত্রাপুরের দোকানগুলোতে। ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে ঘুড়ি-নাটাই দোকানিদের। ফুটপাতে বসেছে অস্থায়ী দোকানও।
ঘুড়ির দোকান থেকে জানা যায়, আকার ও দামভেদে ঘুড়ির দাম ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত আছে। প্রসিদ্ধ বড় চিল ঘুড়ির দাম ২০০ টাকা এবং ছোট চিল ঘুড়ির দাম ১০০ টাকা। আর বাঁশের তৈরি নাটাই ৭০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দাম ৭০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। রয়েছে রুপার ও লোহার নাটাইও।
শাঁখারীবাজারে ঘুড়ি কিনতে আসা নীলিমা ও তার বন্ধুরা বলেন, উৎসবের রাজধানী খ্যাত পুরান ঢাকার উৎসবগুলোর মধ্যে আমরা তরুণরা এই উৎসবটা বেশি উপভোগ করি। গত বছর করোনার জন্য বন্ধুরা বাসায় আসতে পারেনি। এবার আমাদের ছাদে প্যান্ডেল, লেজার লাইটিং ও সাউন্ড বক্স লাগানো হয়েছে। আয়োজনে থাকবে পৌষ সংক্রান্তির পিঠাপুলির উৎসবও।
শঙ্খশ্রী দোকানের মালিক রিপন বলেন, বছরের ১২ মাসই ঘুড়ি-নাটাই বিক্রির ব্যবসা করি। সাকরাইন হিসেবে একটা অন্যরকম আমেজ সৃষ্টি হয়। আমাদের মূল আকর্ষণ তরুণ-তরুণীরা। এ বছর অনেক ঘুড়ি বিক্রি হয়েছে।
এদিকে এ বছর ইংরেজি নববর্ষের অনুষ্ঠানে ফানুস ও আতশবাজিতে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনা ঘটায় সরাসরি ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি হচ্ছে না শাঁখারীবাজারে। তবে গোপনে চলছে বিকিকিনি। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার এলাকার বিভিন্ন দোকানে ফানুস বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়া প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে আতশবাজির বিকিকিনিও।
সাকরাইনে ফানুস উড়ানো ও আতশবাজি ফুটানোর কোনো বিধিনিষেধ আছে কিনা জানতে চাইলে সূত্রাপুর থানার ওসি মইনুল ইসলাম বলেন, প্রতি বারের মতো ফানুস উড়ানো এবারো নিষিদ্ধ। তবুও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু জায়গায় উড়ানো হয়। আমরা এটা প্রতিরোধের চেষ্টা করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়