নির্বাচনী আইন প্রণয়নসহ ৫ দফা প্রস্তাব এনপিপির

আগের সংবাদ

বদলে গেছে ‘প্রাচ্যের ড্যান্ডি’

পরের সংবাদ

মেঘনা নদীতে ইজারার নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জেলার আশুগঞ্জের মেঘনা নদীতে বিভিন্ন নৌযান থেকে জোরপূর্বক ইজারার নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের রেস্ট হাউস থেকে কালাসোতার খাল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ইজারার নামে চলতি নৌকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা আদায় করছে ইজারাদার মহিউদ্দিন মোল্লা। এই নৌপথে চলাচলকারী চলন্ত অবস্থায় কার্গো জাহাজ, বাল্কহেডসহ নানা নৌযানের কাছ থেকে প্রতিদিন জোরপূর্বক বিনা রশিদে ৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। বিআইডব্লিউটিএর নিয়ম রয়েছে- ঘাটে ভিড়লে নৌযান থেকে ইজারার টাকা আদায় করবে ইজারাদার। কিন্তু ইজারাদার নদীর তীরে না ভিড়লেও চলতি অবস্থায় থাকা নৌযান থেকে চাঁদা আদায় করছে। এতে করে নৌযান ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দ্রুত এই বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক জানান, সিলেট থেকে নৌপথে বাল্কহেডের মাধ্যমে বালি নিয়ে আসি আশুগঞ্জে। মালামাল নিয়ে আসতে হয়। পণ্য নিয়ে মেঘনা নদীর সরাইলের পানিশ্বর এলাকা অতিক্রম করে আশুগঞ্জের কালাসোতার খাল এলাকায় আসলেই নৌযান থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে। আমরা বাধা দিলেও তা মানে না। কার্গো ভ্যাসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের আশুগঞ্জ শাখার সুপারভাইজার দুলাল শিকদার জানান, নৌপথে চলাচলাকারী কার্গো জাহাজ থেকে নদীর মধ্য থেকে চলতি নৌযান থেকে প্রতিনিয়তই জোরপূর্বক ইজারার টাকা আদায় করছে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী বাহার মাস্টার বলেন, প্রতিনিয়তই নৌপথে চলাচলকারী নৌযান থেকে নদীতে চলন্ত অবস্থায় ইজারাদার জোরপূর্বক ইজারার টাকা আদায় করছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবি›দ্ব বিশ্বাস বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে ইজারা বাতিল করার জন্য সুপারিশ করেছি। কিন্তু তারা তা করেননি। আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নদী বন্দরের উপপরিচালক মো. শহিদউল্লাহর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়