নির্বাচনী আইন প্রণয়নসহ ৫ দফা প্রস্তাব এনপিপির

আগের সংবাদ

বদলে গেছে ‘প্রাচ্যের ড্যান্ডি’

পরের সংবাদ

জকিগঞ্জে ইউপি নির্বাচন : ৯ ইউনিয়নের ফল বাতিলের দাবি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে আবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন পরাজিত চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদমান সাকিবের যোগসাজশে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ে গঠিত সিন্ডিকেট নির্দিষ্ট প্রার্থীদের পক্ষে সিলমারা ব্যালট পেপার ভোটের বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন পরাজিত ৭ চেয়ারম্যান ও ২৯ মেম্বার প্রার্থী। ভুক্তভোগীরা দ্রুত জকিগঞ্জের ওই ৯টি ইউনিয়নের ভোটের ফলাফল বাতিল করে আবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তাদের অভিযোগ, জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদমান সাকিবের যোগসাজশে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ে গঠিত সিন্ডিকেট নির্দিষ্ট প্রার্থীদের পক্ষে সিলমারা ব্যালট পেপার ভোটের বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন কর্মকর্তা সাদমান সাকিব ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুল হককে সিলমারা ও খালি ব্যালট পেপার এবং নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ভোটের দিন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা দরজা বন্ধ করে ব্যালটে সিল মেরেছেন এবং দুপুরের খাবারের বিরিয়ানির প্যাকেটের ভেতর কৌশলে সিলমারা ব্যালট পেপার এনে ভোটের বাক্সে ভরা হয়। দল বা প্রতীক দেখে নয়, যে প্রার্থীর সঙ্গে টাকার চুক্তি হয়েছে, তাকেই বিজয়ী করেছে এই সিন্ডিকেট। নির্বাচনের আগে প্রত্যেক প্রার্থীকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদমানের পক্ষ থেকে ফোন করা হয়েছিল।
তারা আরো অভিযোগ করেন, ভোটারের তুলনায় কম ব্যালট পেপার নিয়ে নির্বাচন শুরুর সময় প্রার্থীরা প্রশ্ন তুললে ‘ব্যালট কম ছিল, বাকি ব্যালট নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা-রিটার্নিং কর্মকর্তা আসছেন’ বলে আশ্বস্ত করেন প্রিসাইডিং অফিসার। ভোটের শুরু থেকেই প্রার্থীদের এজেন্টরা ছিলেন অসহায়। অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বা প্রার্থীদের কাছে খবর পৌঁছালে ভোটবাক্স চুরির মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছিলেন সব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে ভোটের দিনের অসহায়ত্বের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত প্রার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৯ নম্বর মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের লাঙল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহতাব হোসেন চৌধুরী। এরপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫নং জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হাসান আহমদ, ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের নাছির উদ্দিন, ৯নং মানিকপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর শাহ চৌধুরী হেলাল, ৮নং কশকনকপুর ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ, ১নং বারহাল ইউনিয়নের বুরহান উদ্দিন রনি এবং ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের জালাল উদ্দিনও বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়