নির্বাচনী আইন প্রণয়নসহ ৫ দফা প্রস্তাব এনপিপির

আগের সংবাদ

বদলে গেছে ‘প্রাচ্যের ড্যান্ডি’

পরের সংবাদ

অমিত সম্ভাবনার এক দেশ বাংলাদেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ এখন এক অফুরন্ত সম্ভাবনার দেশ। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভূখণ্ডটি এক সময়ে বিভিন্ন উপনিবেশিক শাসন-শোষণে অন্ধকার গহ্বরের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ, বন্যা, খরা, মহামারির কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে বাংলার জনপদ। অভাব, দুঃখ, দারিদ্র্যকে নিত্যসঙ্গী করে বাঁচতে হয়েছে এদেশের কোটি কোটি মানুষকে। পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাসনামলে শাসকচক্র এখানকার মানুষের পরিশ্রমে অর্জিত সুফল জোর করে সুকৌশলে নিয়ে গেছে তাদের দেশে। পশ্চিম পাকিস্তানের ভূখণ্ডে সমৃদ্ধশালী হয়েছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লুটে নেয়া সম্পদের মাধ্যমে। অবহেলিত অযতেœ লালিত এদেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে পশ্চিমা শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন একজন মহান মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির স্বাধিকার সার্বভৌমত্বের দাবিতে এদেশের মানুষকে সংগঠিত করে প্রতিবাদী সংগ্রামে শামিল করেছিলেন মহান সেই মানুষটি। আপসহীন, নির্ভীক, সাহসী, জনদরদি একজন নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন এদেশের মানুষের কাছে। বাংলার আপামর জনগণ তাঁকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করে আন্দোলন-সংগ্রামের কঠিন পথে যাত্রা শুরু করেছিল। তখনই বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের কাছে বাংলার অমিত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছিলেন। এখানে অফুরন্ত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। চাইলে এখানে সোনা ফলানো সম্ভব। বাংলার পরিশ্রমী উদ্যমী মানুষগুলো চেষ্টা করলে মেধা ও শ্রমে উপযুক্ত ব্যবহার ঘটিয়ে সোনার এক দেশ গড়া সম্ভব- তেমন উপলব্ধি জাগিয়ে তুলেছিলেন এদেশের মানুষের মনে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের পথ পাড়ি দিয়ে মুক্ত করেছে এদেশকে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্র জায়গা করে নিয়েছে। দীর্ঘদিন বিভিন্ন উপনিবেশিক শাসন-শোষণে জর্জরিত এদেশটি অনেক সম্ভাবনাময়। এদেশের মানুষ অনেক পরিশ্রমী, সংগ্রামী বিরূপ প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে তারা টিকে থাকে, নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখে। বঙ্গবন্ধু এই অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে। তিনি ক্রমেই সাজিয়ে তুলেছিলেন স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার সব পরিকল্পনা। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, আধুনিক প্রযুক্তি সবকিছুর অপূর্ব সমন্বয় ঘটাতে নতুন নতুন পরিকল্পনা, চিন্তা-ভাবনা ছিল তার মনে। যার বাস্তবায়নও শুরু করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে। যার প্রায় সবই দারুণ সম্ভাবনাময় হিসেবে সুফল দিতে শুরু করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, সেই দূরদর্শী, অদম্য, বিচক্ষণ, জনদরদি চিরসংগ্রামী মানুষটিকে ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকের নির্মম বুলেট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছিল, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল অফুরন্ত সম্ভাবনার আধার হিসেবে। সেই মহান নেতার আকস্মিক বিদায়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ অনিশ্চয়তার মাঝে ডুবে গিয়েছিল। উজ্জ্বল সম্ভাবনাগুলো আবার অন্ধকারে তলিয়ে যেতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেই অনিশ্চিত অন্ধকার থেকে বাংলাদেশ আবার আলোর পথ ধরে চলার দিশা খুঁজে পায় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে। তার সুযোগ্য, দক্ষ, বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার গতিশীল উদ্যমী বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে আমূল বদলে দিয়েছে। টেকসই উন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এদেশ। দুর্বল, অনুন্নত, নড়বড়ে অবস্থা থেকে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। প্রচলিত অবকাঠামোর আধুনিক রূপান্তর সম্ভাবনার নতুন নতুন দিক উন্মোচন করছে প্রতিদিন। যেসব খাত কিংবা ব্যবসা আগে অবহেলিত অবস্থায় ধুঁকে ধুঁকে চলছিল সেগুলোতে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। অমিত সম্ভাবনার হাতছানি এদেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত, আগ্রহী করে তুলছে। অবহেলায়, অযতেœ লালিত সেই সম্ভাবনাময় খাতগুলো ক্রমেই জেগে উঠছে। উন্নয়নের অগ্রদূত, উন্নত বাংলাদেশের কাণ্ডারি শেখ হাসিনা সেই সম্ভাবনাগুলোকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে এগিয়ে নিতে বরাবরই আহ্বান জানিয়ে আসছেন। সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ, দপ্তর, মন্ত্রণালয়কে সময়ে সময়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। ফলে সম্ভাবনার নতুন নতুন খাতের বিকাশ ঘটে চলেছে। সম্ভানাময় নতুন নতুন খাতগুলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধি অর্জনে, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেশ শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবেই অক্ষম, দুর্বল, মেধাহীন নয়। তারা অনেক পরিশ্রম করতে পারে। সেই সক্ষমতা, উদ্যমী মনোভাবকে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে একজন ক্যারিশমেটিক নেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন নতুন বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন অনেকবার। তার সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের অগণিত মানুষ জেগে উঠেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষ যারা এর আগে বেকারত্ব, দারিদ্র্য, আর অসহায়ত্বের বেড়াজালে নিজেদের বন্দি করে রেখেছিল, তারা এখন নিজের মেধা, বুদ্ধিমত্তা, শক্তি, সাহস, পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে সম্ভাবনার নতুন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে নিজেই নিজের ভাগ্য নতুনভাবে গড়ে তুলছেন। এভাবে সবার সম্মিলিত উদ্যোগে পাল্টে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকা, জনপদের চিত্র। সম্ভাবনার উজ্জ্বল চমক দ্যুতি ছড়াচ্ছে দেশজুড়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টা এবং দক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে প্রিয় বাংলাদেশ। টানা ১৫ বছর সামরিক শাসন না থাকলে বাংলাদেশ হয়তো ৫০ বছরেই উন্নত দেশে পরিণত হতো। তা সত্ত্বেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে। একাত্তরে বিশ্বের মানচিত্রে যখন নতুন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়, তখন অর্থনৈতিকভাবে এটির টিকে থাকা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। অথচ সেই দেশটিই অর্থনৈতিক ও সামাজিক এমন কোনো সূচক নেই যে, অগ্রগতি লাভ করেনি। আর সবচেয়ে বড় নিন্দুকরাও এখন বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অবিশ্বাস্য রকমের। বিশ্ববাসী যা ভাবতে পারেনি, তাই করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পের মধ্যে অন্যতম। ১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এ সময় পাট রপ্তানি করে দেশটি অধিকাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত। বিশ্বে পলিপ্রোপাইলিন যুগ আসার পর পাটপণ্যের চাহিদা দ্রুত হ্রাস পায়, কিন্তু সেই শূন্যস্থান ক্রমান্বয়ে দখল করে নেয় তৈরি পোশাক খাত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সব চেয়ে বেশি অবদান এই তৈরি পোশাক খাতেরই। এই শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মোট প্রবৃদ্ধির ৬-৮ শতাংশই আসছে পোশাক খাত থেকে। বাংলাদেশের এই শিল্পকে বর্তমানে উন্নত বিশ্বসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো অনুকরণ করছে। স্বাধীনতার পরে যে শিল্প আমাদের অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়েছে তার একমাত্র মাধ্যম কিন্তু এই পোশাক শিল্পই। বিশ্বের বুকে নিজেদের কঠোর শ্রম ও উৎপাদন দক্ষতা দেখাতে পারার প্রমাণ মেলে এই শিল্পের মাধ্যমে। এই শিল্পের ওপর ভর করেই বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ বর্তমানে ৪১তম স্থানে উঠে এসেছে। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ এখন পঞ্চম। এককালের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ ২০৩৫ সালে হতে যাচ্ছে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি। ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস এন্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর)। অথচ স্বাধীনতার ঠিক পর থেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে দুর্ভাবনা শোনা যেতে থাকে। মূলত এসব দুর্ভাবনা ছড়িয়েছিল একাত্তরের যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তান সরকার। তাদের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশ যদি প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে অর্থনৈতিক দিক থেকে একটা টেকসই রাষ্ট্র হবে না। মূলত এই ধারণা থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে একটি ভিক্ষার ঝুলি বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। স্বাধীন দেশে ১৯৭২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রথম যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল, সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে হতাশার কথাই ছিল বেশি। বিশ্বব্যাংক বলেছিল, ‘সবচেয়ে ভালো পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ একটি নাজুক ও জটিল উন্নয়ন সমস্যার নাম। দেশের মানুষ গরিব। মাথাপিছু আয় ৫০-৭০ ডলার, যা গত ২০ বছরেও বাড়েনি। একটি অতি জনবহুল দেশ (প্রতি বর্গমাইলে জনসংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৪০০) এবং জনসংখ্যা আরো বাড়ছে (বছরে ৩ শতাংশ হারে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি) এবং দেশটির মানুষ অধিকাংশই নিরক্ষর (সাক্ষরতার হার ২০ শতাংশের কম)।’
বাংলাদেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনেও অভূতপূর্ব সাফল্য দেখা গেছে। স্বাধীনতার সময়ের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি খাদ্যশস্য এখন উৎপাদন করতে পারছে দেশ। শুধু তাই নয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও অনেক বেড়েছে। বেড়েছে প্রবাসী আয়, আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয়। সবচেয়ে বড় কথা, সেই ভিক্ষার ঝুলির অপবাদ পাওয়া সেই বাংলাদেশ এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী হওয়ার পথে। ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে এই দেশের উন্নয়ন ব্যয়ের ৮০ শতাংশই বিদেশি সাহায্য ও ঋণের মাধ্যমে মেটানো হতো। বর্তমানে সেই দেশের বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয়ে বিদেশি ঋণ ও সাহায্যের পরিমাণ অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। রাজস্ব আয়ের যে উদ্বৃত্ত অংশ থাকে, তা বিনিয়োগ করা হচ্ছে উন্নয়ন বাজেটে। এখন উন্নয়ন ব্যয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ আসছে বৈদেশিক সাহায্য থেকে। বাকি ৭০ শতাংশই নিজস্ব অর্থ থেকে জোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এক সময় বৈদেশিক অর্থায়ন না পেলে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলেও সেটি নেয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু এখন সেই অবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন নিজেদের অর্থে বৈদেশিক ঋণ ছাড়াই প্রকল্প নেয়ার সক্ষমতা অর্জন হয়েছে, যার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতুর মতো ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন। এর কৃতিত্ব জনগণের এবং আওয়ামী লীগ সরকারের। জনগণ টাকা দিয়েছে আর আওয়ামী লীগ সরকার নিজ দেশের টাকায় এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার সাহস দেখিয়েছে। এসব থেকে এটাই প্রমাণ হয়- বাংলাদেশ কখনই ভিক্ষার ঝুলি ছিল না। ভিক্ষার ঝুলির তকমা লাগা সেই বাংলাদেশের গত ৫০ বছরে সবচেয়ে বড় অর্জন হলো, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণ।
রেজাউল করিম খোকন : সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়