চট্টগ্রামে সৈকতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোথাও : বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন > ঢিলেঢালা অভিযানে ১১ জনকে জরিমানা

পরের সংবাদ

হোমনার তেভাগিয়া খাল : ২৫ বছর ধরে কাঠের সেতুতে পারাপার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : হোমনার আসাদপুর ইউনিয়নের তেভাগিয়া গ্রামের খালে ২৫ বছরেও নির্মাণ হয়নি সেতু। ঝুঁঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে উপজেলার পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে। সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনেও পূরণ হয়নি।
তেভাগিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও হোমনা সরকারি কলেজের শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমরা ছোটবেলায় দেখেছি উপজেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব মানুষ এই খালের খেয়া পার হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করত। ২০-২৫ বছর আগে গ্রামের লোকজন চাঁদা তুলে খালের উপর কাঠের সাঁকো তৈরি করে। প্রায় প্রতি বছরই সাঁকোটিকে মেরামত করতে হয়। বর্তমানে সাঁকোটির অবস্থাও নড়বড়ে। তারপরও কোনো উপায় না থাকায় এই সাঁকোতেই মানুষ যাতায়াত করছেন।
চারকুরিয়া গ্রামের বৃদ্ধ হাতেম আলী আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই ইউনিয়নে (আসাদুপুর ইউনিয়নে) সব সময়ই অনেক বড় বড় রাজনৈতিক নেতা বড় বড় জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তাদের অনেকেই নির্বাচনের আগে এলাকায় এসে বলে গেছেন, নির্বাচনের পরেই এই সেতুর কাজ ধরব। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়েছে, এখনো এই সেতু হচ্ছে না।
এলাকার বাসিন্দা ও রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. এমদাদ ভূঁইয়া জানান, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সাঁকো পার হয়েই ঘনিয়ারচর, দত্তেরকান্দি, কলাগাছিয়া, জয়নগরসহ প্রায় ৮-১০টি গ্রামের শিক্ষার্থীকে কষ্ট সহ্য করে কলেজে আসতে হয়। সাঁকোর দুই পাশে আধা কিলোমিটার করে মোট এক কিলোমিটার সড়ক কাঁচা হওয়ায় এই এক কিলোমিটার সড়কে কোনো সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলাচল করে না। ফলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন পাঠান জানান, এই সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণ হলে এবং এর দুই পাশের কাঁচা সড়কটুকু পাকা হয়ে গেলে পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলের ২০-২২টি গ্রামের মানুষ অল্প সময়ে পাকা সড়কে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরো জানান, এ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কুমিল্লা-২ আসনের সাংসদ সেলিমা আহমাদ বলেছেন, এই খালে সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দ্রুতই নির্মাণকাজ শুরু করে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে।
এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সাঁকোর স্থলে সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। সাপোর্টিং ফর রুরাল ব্রিজ’স প্রকল্পের আওতায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে। আশা করি দ্রুতই এটি অনুমোদন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, সাঁকোর দুই পাশের কাঁচা রাস্তা পাকা করার কাজ চলমান। শিগগিরই সড়ক সম্পন্ন হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়