চট্টগ্রামে সৈকতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোথাও : বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন > ঢিলেঢালা অভিযানে ১১ জনকে জরিমানা

পরের সংবাদ

স্বর্ণ পাচার মামলা : বিমান কর্মচারীসহ চারজনের ১২ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ৯ কেজি স্বর্ণ পাচারের সময় গ্রেপ্তার দুই বিমান কর্মচারীসহ চারজনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিলকিছ আক্তার মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বিমান ফ্লাইট ক্যাটরিং সেন্টারের (বিএফসিসি) পেন্ট্রিম্যান খন্দকার রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলাম এবং স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য ইফতারুল আলম সরকার ও রিয়াজ ওরফে আমজাদ। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তাদের আরো ৬ মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী গোলাম নবী।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা দুই আসামি রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য দুই আসামি জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণা শেষে চার আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৮ সালের ১৫ মার্চ শাহজালাল বিমানবন্দরের বিমানের টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯ কেজি ২৮০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টমস হাউস। তখন এর বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ ঘটনায় রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলামকে আটক করা হয়। পরে কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রিভে.) এম এস রিমন আল-রাফি বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলাম ডিউটি অবস্থায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেদ্দা-সিলেট হয়ে ঢাকাগামী বিজি২৩৬ এ ক্যাটারিংয়ের কাজের উদ্দেশ্যে বিমানের ভেতরে প্রবেশ করেন। টয়লেটের মধ্যে টিস্যু বক্সে রক্ষিত কালো স্কচটেপ মোড়ানো চারটি রোল থেকে তারা দুটি করে জামার মধ্যে লুকিয়ে বিমান থেকে বের হয়ে খাবারের ট্রেতে লুকিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে কাস্টম কর্তৃপক্ষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বর্ণ উদ্ধার করে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৮ জুলাই চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়