চট্টগ্রামে সৈকতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোথাও : বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন > ঢিলেঢালা অভিযানে ১১ জনকে জরিমানা

পরের সংবাদ

বাণিজ্যমেলা প্রতিদিন : মেলায় পাটপণ্যে আগ্রহী ক্রেতারা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১২তম দিন ছিল গতকাল বুধবার। ছুটির দিনের চেয়ে ভিড় কিছুটা কম হলেও ক্রেতা সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা যত বাড়তে থাকে স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোয় ভিড়ও তত বেশি দেখা যায়। বিছানার চাদর, কুশন কভার, পর্দার স্টলগুলোতে ডিসকাউন্ট ও বিভিন্ন প্যাকেজের অফার দিয়ে ক্রেতাদের ধরে রাখার চেষ্টা ছিল বিক্রেতাদের। ক্রেতা সমাগম ভালো থাকলেও বিক্রেতারা বলছেন, অনেকেই শুধু পণ্য দেখার জন্যই আসছেন, কেনাকাটা সেভাবে এখনো জমে ওঠেনি। আর ক্রেতারা বলছেন, মেলার প্রথম দিকে জিনিসপত্রের দাম একটু চড়া হলেও পণ্যের মান ভালো। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে মেলা জমে উঠবে, এমন প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।
মেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায়, এবারের বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে পাটের তৈরি বিভিন্ন পণ্য। প্রত্যাশার চেয়ে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান উদ্যোক্তারা। মান ভালো, দামও নাগালের মধ্যে বলে জানান দর্শনার্থীরা। মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্যোক্তাদের তৈরি বহুমুখী পাটপণ্য নিয়ে বসেছে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)। ১৩ উদ্যোক্তার পাটের দুই শতাধিক পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে প্যাভিলিয়নটিতে। প্রাণ-প্রকৃতির মেলবন্ধনে তৈরি পণ্যের পসরা বসেছে ছোট্ট এ প্যাভিলিয়নে। পাট-বেত ও বাঁশের তৈরি দরকারি নানা হস্তশিল্প ও কারুপণ্যের খোঁজে দর্শনার্থীরা আসছেন এখানে। ছোট ছোট উদ্যোগে তৈরি বিভিন্ন কাজের উপযোগী ব্যাগ, হ্যান্ড পার্টস, গহনা, ঘর সাজানোর উপকরণের সঙ্গে খেলনা ও গৃহস্থালি কাজে দরকারি ও সৌখিন জিনিসপত্র মিলছে সরকারি সংস্থার এ প্যাভিলিয়নে। এসব দেশি পণ্যের প্রতি তাদের আগ্রহের কথা জানালেন দর্শনার্থীরা। এ বিষয়ে উদ্যোক্তারা জানালেন, ক্রমেই চাহিদা বাড়ছে নান্দনিক এসব পণ্যের। বাজারে টিকতেই নতুন নতুন ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে হয় বলে জানান তারা। পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তাও।
উদ্যোক্তারা বলেছেন, এ ভেন্যুটা সবাই সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছে। এবং অনেক দূরে থেকে সবাই এখানে পণ্য কিনতে আসছে। যতটুকু আশা করেছিলাম ততটুকু খারাপও হচ্ছে না। আগারগাঁওয়ের সঙ্গে তুলনা করলে তো কোনো লাভ নেই। যতটা খারাপ ভেবে ছিলাম, ততটা খারাপও হয়নি। এবারের আসরে জেডিপিসির প্যাভিলিয়নটি স্থান পেয়েছে মূল প্রদর্শনী কেন্দ্রের পেছনের দিকে। নতুন জায়গা, সঙ্গে নতুন ক্রেতাও পাচ্ছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলেন, আগের বাণিজ্য মেলায় শুরুর দিকে ক্রেতা পাওয়া যেত না। তবে এবারের মেলায় শুরু থেকেই ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে।
১৬৮টি দেশে যাচ্ছে আমাদের পাটপণ্য। এবারের ২৬তম বাণিজ্য মেলার মধ্য দিয়ে এ সংখ্যাটা আরো বাড়ানোই উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য।
প্যাভিলিয়নে আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বলেছেন, তাদের কারিগরি সহায়তা দরকার। ভালো পরামর্শ প্রয়োজন। যারা এগুলো নিয়ে কাজ করে, তাদের এক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দেয়া ?উচিত। মেলায় ঢোকার মুখেই আমরা বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য পেয়ে খুবই খুশি হচ্ছি। আমাদের আঞ্চলিক হস্তশিল্পগুলো খুব সুন্দরভাবে এখানে প্রদর্শন করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়