চট্টগ্রামে সৈকতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোথাও : বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন > ঢিলেঢালা অভিযানে ১১ জনকে জরিমানা

পরের সংবাদ

খাস জমি দখলে নিয়ে প্লাস্টিক কারখানা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : সরকারের ১নং খাস জমি দখল করে প্লাস্টিক কারখানা গড়ে তুলেছেন টাঙ্গাইলের সখীপুরের যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুর রহমান বাবুল ও তার ছোট ভাই খন্দকার মাসুম মিয়া। যাদবপুর ইউনিয়নের বেড়বাড়ী গ্রামের কলাবাগান এলাকায় ২১০১নং দাগের এক একর জমি জবরদখলে নিয়ে তারা এ কারখানাটি গড়ে তুলেছেন।
এ বিষয়ে ২১০১নং দাগে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে ভূমিহীন হিসেবে বন্দোবস্ত পাওয়া আবদুল করিম ও তার সহোদর আবদুল আলীম টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। যার বন্দোবস্ত নং ১৫ ও ১৬, অর্থবছর ২০১৬-১৭। জমির পরিমাণ ৪০ শতাংশ। প্লাস্টিক কারখানাটি বন্দোবস্ত পাওয়া দুটি বাড়ির ৪০ শতাংশ জমি ঘেঁষা। জেলা প্রশাসক অভিযোগটি সরজমিন তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী ওই সাবেক চেয়ারম্যানের একই দাগের সরকারি খাস জমিতে একটি ‘বাগান বাড়ি’ রয়েছে। সরজমিন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেড়বাড়ী মৌজার ২১০১নং দাগে মোট জমির পরিমাণ ২০ একর আট শতাংশ। ওই দাগে ব্যক্তি মালিকানা একাধিক খতিয়ান রয়েছে। ব্যক্তি খতিয়ানের ভূমি মালিকরা স্বত্ব অনুযায়ী নিয়মিত ভূমির খাজনা পরিশোধ করে দখলে বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের জমি পরিত্যক্ত থাকায় শালগজারি উজার করে টিলার মাটি কেটে রূপান্তরিত সমতল এক একর ৩০ শতাংশ জমিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই ওই প্লাস্টিক কারখানাটি গড়ে তুলেছেন। ভূমিহীন বন্দোবস্ত গ্রহণকারী আবদুল আলীম বলেন, চেয়ারম্যান পরিবারের প্রভাবে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। তাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মাকসুদুজ্জামান জানান, বেড়বাড়ী মৌজার ২১০১ দাগে মোট জমির পরিমাণ ২০ একর আট শতাংশ। এর মধ্যে ব্যক্তি মালিকানা খতিয়ানে ৯ একর ৬০ শতাংশ জমির নিয়মিত খাজনা নেয়া হচ্ছে। দাগের অবশিষ্ট কিছু জমি ব্যক্তি নামে খতিয়ানে থাকলেও দাগের বিপরীতে পরিমাণ উল্লেখ নেই। তবে দাগের বেশির ভাগ জমিই সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। অভিযোগ অস্বীকার করে যাদবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুর রহমান বাবুল বলেন, পৈতৃক ও দলিল সূত্রে প্রাপ্ত রেকর্ডীয় মালিকানা জমিতে প্লাস্টিক কারখানা গড়ে তুলেছি।
জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সুলতানা ভোরের কাগজকে বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। ২১০১নং দাগের জমির জটিলতার বিষয়টি অবগত হয়েছি। দ্রুত পরিমাপ করে সরকারি জমিসহ ব্যক্তি মালিকানা জমির সীমানা চিহ্নিত করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়