চট্টগ্রামে সৈকতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোথাও : বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন > ঢিলেঢালা অভিযানে ১১ জনকে জরিমানা

পরের সংবাদ

এফবিসিসিআই সভাপতি : দেশে আর লকডাউন চাই না

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে আবার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিলেও লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ না দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পৃথিবীতে এখন কোনো দেশ লকডাউন দিচ্ছে না। কারণ লকডাউনের কারণে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। গত বছর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কারণে আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও আমরা জিডিপির ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। অথচ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ ফিরিয়ে এনেছে সরকার। ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টির পর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল বুধবার এক দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে, সেসঙ্গে দৈনিক শনাক্তের হার পৌঁছেছে ১২ শতাংশের কাছাকাছি।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, নতুনভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ার এই সময়ে লকডাউন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী সমাজ। গতবারের লকডাউনের কারণে পোশাক কারখানাগুলো এখনো ১৫ শতাংশ শ্রমিক সংকটে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর ১৩ থেকে ১৪ দিন পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা চাকরি ছেড়ে বাড়ি গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সুতরাং লকডাউনই সমাধান নয়, এর কারণে ক্ষতি হচ্ছে।
এর বদলে স্বাস্থ্য সচেতনতার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, সরকার যে টিকা ছাড়া হোটেল-রেস্টুরেন্টে যাওয়া কিংবা সমাবেশ বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে, এটাকে আমি সমর্থন করি। আমাদের জোর দিতে হবে টিকা ও স্বাস্থ্য সচেতনতায়।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের প্রসঙ্গ ধরে জসিম উদ্দিন বলেন, ২০২৬ সালে যখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে, তখন থেকে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা আর পাওয়া যাবে না। তবে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর আমাদের অনেক সুযোগও তৈরি হবে। সেসব সুযোগ নেয়ার জন্য বিশেষ করে আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব। ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়