চট্টগ্রামে সৈকতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোথাও : বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন > ঢিলেঢালা অভিযানে ১১ জনকে জরিমানা

পরের সংবাদ

অবশেষে পানির বিল কমাল সিসিক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট অফিস : নানা সমালোচনার পরে অবশেষে পানির বর্ধিত বিল পুনর্নির্ধারণ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। গতকাল বুধবার নগর ভবনে পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে তিন ক্যাটাগরিতে ৪ স্তরের ডায়ামিটারে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে পানির বিল। পানির বিল পুনর্নির্ধারণের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এর আগে গত বছরের ২১ জুন সিসিক পরিষদের এক বৈঠকে পানির বিল বাড়ানোর প্রস্তাব পাস করেন মেয়র। এরপর একই বছরের ৩১ আগস্ট এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবাসিক সংযোগের ক্ষেত্রে আধা ইঞ্চি ব্যাসের বিল ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা এবং ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের ক্ষেত্রে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা ও ১ ইঞ্চি ব্যাসের বিল ১০০০ থেকে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। একইভাবে বাড়ানো হয়েছিল বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের পানির বিলও। প্রায় দ্বিগুণ এই পানির বিল প্রদানে অসম্মতি জানিয়ে রাস্তায় নামেন মানুষ। প্রায় প্রতিদিনই কোনো কোনো এলাকায় মানববন্ধন, সমাবেশ হয়েছিল সে সময়।
আর এই আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দেন সিলেট আওয়ামী লীগ ও সুশীল সমাজের নেতারা। এমনকি সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা বয়কটের অন্যতম কারণ হিসেবেও এই বর্ধিত পানির বিলকে ইস্যু করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। একপর্যায়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বর্ধিত বিল কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনার প্রতিশ্রæতি দেন।
প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী গতকাল বুধবার সিসিকের মাসিক সভায় এই প্রস্তাবনা অনুমোদন হয়। নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী আবাসিক সংযোগে প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি ডায়ামিটারের লাইনে পূর্ব নির্ধারিত বিল ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০, ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে বিল ৮০০ থেকে কমিয়ে ৬০০ এবং এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ১ হাজার ৫০০ টাকার স্থলে ১ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কমানো হয়েছে বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগের বিলও।
এ ব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেট নগরীর অধিকাংশ নাগরিকের দাবির কারণে প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী পানির বিল পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, এখন এ-সংক্রান্ত বিতর্কের অবসান হবে। তিনি আরো বলেন, যে মাসগুলোতে বর্ধিত বিল দেয়া হয়েছিল পরবর্তী বিলের সময় সেগুলোও সমন্বয় করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়