হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

সেতুর আংশিক কাজ করে ৭ মাস উধাও ঠিকাদার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া সড়কের কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাওয়ের পর এবার সড়কের কাওনা এলাকার নরসুন্ধা নদের উপর নির্মাণাধীন সেতুর আংশিক কাজ করে সাত মাস ধরে উধাও আরেক ঠিকাদার। এতে করে ঢাকাসহ আন্তঃজেলা রুটের হাজারো যাত্রীকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সাবেক ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই কাদা মাটিতে গাড়ি পিছলে নদে পড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে কাজ ফেলে রাখায় জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশের চুক্তির বর্ণনা এবং ‘সামনে সেতুর কাজ চলমান’ এমন সতর্কতামূলক কোনো সাইনবোর্ডও লাগায়নি। সোমবার সরজমিন গিয়ে কথা হয় স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের সঙ্গে। এ সময় তিনি ও আরো কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে ব্যবসায়ীরা।
শুকনা মৌসুমে ধূলাবালিতে নাক-মুখ বন্ধ হয়ে যায়, বৃষ্টি হলে গাড়ি পিছলে উল্টে যায়। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৩৭৮০ মিটার চেইনেজে ৪০ মিটার দৈর্ঘের পিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণকাজের জন্য গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার এইচ/এন-৪৬৪, পুনাম পেলস্, এইচটিবিএল সার্চের (জেবেকা) সঙ্গে চুক্তি হলেও সাব-কন্ট্রাক্টর হিসেবে কিশোরগঞ্জের এস আলম চুক্তিবদ্ধ হন। যা সমাপ্ত হওয়ার কথা চলতি বছরের ৩০ মে। প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দের সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু করে দুপাশে দুটি গার্ডার নির্মাণের পর থেকে সাত মাস ধরে কাজ ফেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উধাও হওয়ায় নদের উপর অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে সাময়িকভাবে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুকনা মৌসুমে অনেক কষ্টে যান চলাচল করলেও প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস আলমের মালিক মো. শফিকুল আলম বলেন, কোটি টাকার উপরে বিল আটকা রয়েছে যে জন্য ফান্ডের অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি বিল ইদানীং পেয়েছি। শিগগিরই কাজ শুরু করব। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বাকী বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। এত দিন কাজ বন্ধ থাকার কারণ জানাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় চুক্তি বাতিল করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়