হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

সতর্ক হোন, স্বাস্থ্যবিধি মানুন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবিলায় আর লকডাউন নয়, মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রেখে কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে দেশের করোনার ভবিষ্যৎ। গত এক সপ্তাহে দেশে করোনা সংক্রমণ ১২৫ শতাংশ বেড়েছে। সরকারি হিসাব মতে শনাক্ত ওমিক্রনের রোগীর সংখ্যা ৩০ জনের অধিক। কিন্তু বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। এমতাবস্থায় গত সোমবার ওমিক্রন ঠেকাতে ১১ দফা বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ১৩ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে। এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত নভেম্বরে ১৫ দফা এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল। নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ‘ওমিক্রন’ খুবই ‘এগ্রেসিভ’ ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে ওমিক্রন প্রতিরোধে নানা ব্যবস্থায়। ভ্যারিয়েন্টটি বাংলাদেশে প্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে সরকারও। করোনার এই নতুন ধরন নিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশকে সতর্ক হতে হবে এখন থেকেই। পাশাপাশি দেশের জনগণের দায় রয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে চলছে করোনার চতুর্থ ঢেউ। এরই মধ্যে শনাক্ত হলো ওমিক্রন। গত বছর অক্টোবরেও ভারতে নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছিল। ‘ডেল্টা’ নামের ওই ধরন অতি দ্রুত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। আমাদের দেশে সরকারের সতর্কতায় এটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। বাংলাদেশের মতো অর্থনীতির দেশে করোনার মতো দীর্ঘস্থায়ী মহামারি মোকাবিলা করা সহজ কাজ নয়। একদিকে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত, অন্যদিকে জীবিকা রক্ষার চেষ্টা করা- সব মিলিয়ে যে কোনো সরকারের জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এরপরও আমরা বড় ট্র্যাজেডি এড়াতে পেরেছি। কারণ অনেক দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা এ পর্যন্ত সংক্রমণ মোকাবিলায় অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনার নতুন ধরনটি নিয়ে এ পর্যন্ত মূল্যায়নে দেখা যায় আগের ধরনগুলোর চেয়ে নতুন ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার গতি দ্রুততর। এর অর্থ হচ্ছে নতুন ধরনের মাধ্যমে সংক্রমণ ব্যাপক হওয়ার আশঙ্কা আছে। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলার পাশাপাশি টিকা নেয়া অব্যাহত রাখতে হবে। করোনার সংক্রমণ কমে গেলে আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে যে উদাসীনতা তৈরি হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ভাইরাসটি নিয়ে বেশি আতঙ্কিত না হয়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। বিশ্বের আক্রান্ত অন্যান্য জায়গা থেকেও যারা আসবে তাদের বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনোভাবেই স্ক্রিনিং ছাড়া যেন আক্রান্ত দেশের কোনো ব্যক্তি দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সব চেয়ে বড় কথা দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী এখনো টিকার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। সবাইকে দ্রুত টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়