হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর : ঘুঘু ও ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আওয়ামী লীগের সম্মানীত এক নেতা ২৪ ঘণ্টায় আমাকে রেজাল্ট দেখানোর কথা বলেছেন। এ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু ও ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সদর থানা নির্বাচনী ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি আমার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক। তার হাতে দায়িত্ব ছিল এজেন্ট ও নির্বাচনসংক্রান্ত কাজ পরিচালনা ও সহযোগিতা করা। যখন আমি জানতে পারলাম রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তৎক্ষণাৎ এসপি অফিসে যাই। সে সময় তিনি অফিসে ছিলেন না। টেলিফোনে বললাম রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কেন। তারা বললেন তার নামে ওয়ারেন্ট আছে। এ সময় তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এ টি এম কামাল উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর ২০ হাজার নেতাকর্মীর একটা র?্যালিতে আমার সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে আমি সে সমাবেশে যাইনি। কিন্তু আমার বারবার অভিযোগের পরেও সরকারি দল এমপি ও বড় বড় নেতাদের এনে উসকানিমূলক ও ভয়ভীতি ছড়ানোর মতো কথাবার্তা বলছেন। একজন সম্মানিত মেহমান বলেছেন, তৈমূরকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না।
তৈমূর বলেন, বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যাদের নামে ওয়ারেন্ট নেই। আমি বললাম যেদিন আমি নমিনেশন ক্রয় করি, জমা দেই এমনকি বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের দিনও আমার সঙ্গে ছিল রবি। তাকে এতদিন গ্রেপ্তার করা হলো না। ঘুঘু দেখানোর জন্য সম্মানিত নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক সাহেব যখন বললেন তারপর থেকেই কেন আপনারা আমাকে ফাঁদ দেখানো শুরু করেছেন। আপনারা কী চান না নারায়ণগঞ্জে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক? আপনাদের দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমার ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন তার বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি করেছে। মাজহারুল ইসলাম জোসেফের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। সে যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, বন্দর থেকে ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন আমাকে সমর্থন করায় তার বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। তার কেয়ারটেকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এভাবেই আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়