হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

রূপগঞ্জে ভূমি জালিয়াতি রোধে নানা পদক্ষেপ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : রূপগঞ্জে সক্রিয় ভূমি জালিয়াত চক্র। তাদের দৌরাত্ম্যে জমির মালিকরা থাকেন আতঙ্কে। তবে জমি মালিকদের সেবাদানে তৎপর উপজেলা ভূমি অফিস। জালিয়াতি প্রতিরোধে জমির মালিকদের সচেতন করতে নেয়া হয়েছে পদক্ষেপ।
রাজধানীঘেঁষা পূর্বাচল নতুন শহর ঘিরে ৭টি ইউনিয়ন আর ২টি পৌরসভা নিয়ে শিল্পনগরী খ্যাত ব্যস্ততম উপজেলা রূপগঞ্জ। এ উপজেলায় গড়ে উঠেছে শিল্পকারখানা, আবাসন। পূর্বাচল উপশহর গড়ে ওঠায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন হচ্ছে আবাসন। এই সুবাদে দৌরাত্ম্য বেড়েছে ভূমি দালাল ও জালিয়াতদের। তাই স্থানীয় জমি মালিকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জালিয়াত চক্র কৌশলে জমি আত্মসাৎ করতে নানা রকম চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ওই চক্র প্রথমে ভুয়া দলিল তৈরি করে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নামজারি, জমা খারিজ করিয়ে নেয়। পরে তা বিক্রি করে দেয় প্রভাবশালী মহলের কাছে। এসব বিষয় নজরে এলে সতর্ক অবস্থান নেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমান এসিল্যান্ড আতিকুল ইসলাম গত ৬ মাসে নামজারি থেকে রাজস্ব হিসেবে ১ কোটি ১ লাখের বেশি, ভিপি লিজ বকেয়া আদায় ১১ লাখ ১৩ হাজার টাকা তুলেছেন। সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সেরা রাজস্ব আদায় উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি মিলেছে।
খাস জমি উদ্ধারে তৎপর রয়েছেন এসিল্যান্ড। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় থাকা ক তফসিলভুক্ত সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। মোগলান মৌজার বাসিন্দা মাহবুব আলম বলেন, জালিয়াত চক্র বিভিন্নভাবে এসিল্যান্ড থেকে নামজারি করিয়ে ভুয়া দাতা দেখিয়ে বিক্রি করে দেয়। এখন এসিল্যান্ড সতর্ক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
উপজেলার নাজির কাম ক্যাশিয়ার নাসির উদ্দিন বলেন, ভূমিসেবায় ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করায় জমির মালিকদের নিরাপত্তা বেড়েছে। এখন আর একজনের জমি অন্যের নামে করিয়ে নেয়ার সুযোগ নেই।
এসিল্যান্ড আতিকুল ইসলাম বলেন, ভূমি অফিসে জমি মালিকের ছদ্মবেশি জালিয়াত চক্রের অপকর্মে বাধা দিলেই একটি পক্ষ অপপ্রচার চালায়। বিধি মোতাবেক নামজারি করতে আসা জমি মালিকদের পক্ষ-বিপক্ষের শুনানির ব্যবস্থা করে থাকি। প্রয়োজনে তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করি। এতে প্রকৃত জমি মালিকরা খুশি হলেও জালিয়াতচক্র ও অপকর্মে লিপ্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, এখানে নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত লেনদেনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়