হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিবৃতি : সরকারি নির্দেশনার অজুহাতে ভাড়া না বাড়ানোর আহ্বান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আজ বুধবার থেকে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলে সরকারি নির্দেশনার অজুহাতে পরিবহন ভাড়া যেন না বাড়ানো হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে ভাড়া বাড়ানোর সব ধরনের পাঁয়তারা বন্ধের দাবিও জানানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার কারণে সারা পৃথিবীর সব দেশে গণপরিবহনে যাত্রী কমেছে। অর্ধেক আসনে যাত্রীবহন করেও প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়াসহ আরো অনেক দেশে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ২০২১ সালে বাংলাদেশের গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশনা মানাতে সরকার ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো- রাজধানীর গণপরিবহনে এই সুযোগে ১০০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নজির রয়েছে। লেগুনা, টেম্পু, অটোরিকশা, রিকশায়ও ভাড়া বহুগুণ বাড়ানো হয়, যা আয় কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের সংকট আরো বেড়ে যায়। তাছাড়া রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহনের সংকট রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যাত্রীরা বাদুড়ঝোলা হয়ে গাদাগাদি করে যাতায়াত করেন। জীবন-জীবিকা সব কিছু স্বাভাবিক রাখার এ চিত্র সামনে রেখে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত কখনো বাস্তবায়ন করা যাবে না।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, করোনার সংক্রমণ বাড়লেও স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব প্রতিষ্ঠানই খোলা। লোকজন গণপরিবহনে যাতায়াত করে। এই অবস্থায় গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত কাগুজে সিদ্ধান্তে পরিণত হবে। এই অজুহাতে আবারো ভাড়া বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষের জীবন বিষিয়ে উঠবে। তাই ‘যত সিট তত যাত্রী’ পদ্ধতিতে গণপরিবহনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বিবৃতিতে সংক্রমণ প্রতিরোধে গণপরিবহনে যাত্রী, চালক-সহকারী সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে বাধ্য করা, যাত্রী ওঠা-নামার সময় হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার, একজন যাত্রী নামার পর তার আসনে জীবাণুনাশক ব্যবহার এবং যানবাহন চালুর আগে জীবাণুনাশক ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে গত সোমবার সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে ১৩ জানুয়ারি থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে বিধিনিষেধ কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের ষষ্ঠ দফায় বলা হয়েছে, ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্বপ্রকার যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়