হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

বিশ্বে প্রথম মানবদেহে জিএম শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মানবদেহে প্রথমবারের মতো জিন-বদলে নেয়া একটি শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এ ঘটনা বিশ্বে এই প্রথম। গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে বাল্টিমোরে ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারে দীর্ঘ সাত ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে ৫৭ বছর বয়সি ডেভিড বেনেটের দেহে পরীক্ষামূলকভাবে হৃৎপিণ্ডটি বসানো হয়।
চিকিৎসকরা জানান, তিন দিন আগে ওই অস্ত্রোপচারের পর থেকে এখনো ভালো আছেন বেনেট। গত সোমবার থেকে নিজে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন। বেনেটের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসকরা শূকরের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনকেই ‘শেষ উপায়’ বিবেচনা করলেও দীর্ঘ মেয়াদে তিনি কেমন থাকবেন সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। এই প্রতিস্থাপন করা না হলে বেনেট মারা যেতে পারেন, এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই অস্ত্রোপচারের জন্য বিশেষ অনুমোদন দেয়। অস্ত্রোপচারের একদিন আগে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বেনেট বলেন, বিষয়টা এমন যে, হয় মরতে হবে নয়তো প্রতিস্থাপন করতে হবে। আমি জানি এটা হচ্ছে অন্ধকারে ঢিল ছোড়া, কিন্তু এটাই আমার শেষ ভরসা।
অস্ত্রোপচারের পরের অবস্থা জানিয়ে সার্জন বার্টলে গ্রিফিথ বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বেনেটের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা মানব শরীরে এর আগে এটা করিনি। আমি মনে করি তিনি যে থেরাপির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, আমরা তার চেয়ে ভালো কিছু তাকে দিয়েছি। তবে প্রতিস্থাপন করা হৃৎপিণ্ড নিয়ে বেনেটের আয়ু কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারছেন না এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, রোগী কতটা সময় পাবেন- একদিন, সপ্তাহ, মাস, নাকি বছর, আমি জানি না। অবশ্য বেনেট হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন নিয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন। অস্ত্রোপচারের আগে তিনি বলেছিলেন, আমি আশা করছি, সুস্থ হয়ে আমি আবারো বিছানা ছাড়তে পারব। অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্রে দিনে ১৭ জন রোগীর মৃত্যু ঘটে। সে দেশে এখনো এক লাখেরও বেশি মানুষ কোনো না কোনো অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনকারী সার্জন বার্টলে গ্রিফিথ এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যে সংকট, তার সমাধানের পথে আমাদের আরো একধাপ এগিয়ে দিল এই প্রতিস্থাপন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়