হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী : ভোট চোরদের জনগণ রেহাই দেয় না

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চোরদের জনগণ রেহাই দেয় না বলেই ভোটচুরির অভিযোগে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কেমন নির্বাচন করেছিল, কত শতাংশ ভোট পড়েছিল। সব জায়গায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে, ভোটের বাক্স সিল দিয়ে খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। খালেদা জিয়া জনগণের ভোট চুরি করেছিল বলে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, সংগ্রাম, আন্দোলন হয়েছিল। সেই সংগ্রামের মধ্যে নাকে খত দিয়ে ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে। রাষ্ট্রপতি ভবনে পদত্যাগ করতে যাওয়ার সময় জনগণের অনুমতি নিয়ে তাকে যেতে হয়েছিল। ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতায় বসে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট থেকে তৈরি হওয়া দল বিএনপি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা দেশকে কী দিয়েছে? ’৭৫-এর পর সংবিধান ভঙ্গ করে ক্ষমতা দখল করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীতে একবার না ১৯-২০ বার ক্যু হয়েছে। আর তার ফলাফল হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে, সেনাসদস্যদের হত্যা করা হয়েছে, রাজনীতিবিদদের হত্যা করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে। তখন ক্ষমতায় বসে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করা হয়। সেই দলেরই নাম বিএনপি।
স্বাধীনতাবিরোধী কিছু প্রেতাত্মা এখনো রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করলে পেছনে লেগে থাকা এক শ্রেণীর মানুষের অভ্যাস। যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা খুনিদের নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সরকার গঠন করে রাষ্ট্রপরিচালনা করে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদের কিছু প্রেতাত্মা এখনো সমাজে আছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে এবং তারাই এগুলো করে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেন ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যা করা হয়। পরাধীন বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ থেকে মুক্ত করার কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা অর্জন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্যে সেই ছাত্রজীবন থেকে সংগ্রাম করেছেন। এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। একই সঙ্গে একটি জাতির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজটি তিনি করে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় অর্জন হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের

মিত্র বাহিনী ও শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। আটকা পড়ে প্রায় ৯৬ হাজার পাকিস্তানি। যে কারণে, ফাঁসির আদেশ হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানিদের পরাজয়ের কারণে ইয়াহিয়া খানের পরাজয় ঘটে ভুট্টো ক্ষমতায় আসে। তখন ভুট্টো নিজের চামড়া বাঁচাতে ও এই ৯৬ হাজার পাকিস্তানি ফিরিয়ে নিতে এবং আন্তর্জাতিক চাপে জাতির পিতা শেখ মুজিবকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। তিনি কাজ শুরু করেছিলেন, মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশ গড়ে তুলে তিনি জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায় করেছিলেন। এদেশের জনগণকে নিয়েই তিনি স্বল্পোন্নত দেশ গড়ে তোলেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, যখন বঙ্গবন্ধু একটি ঘুণে ধরা সমাজকে ভেঙে নতুন সমাজ বিনির্মাণের পদক্ষেপ নিলেন, তখন ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হলো। বাংলাদেশের মাটি তো উর্বর, তাই যেমন ভালো মানুষ জন্মে, তেমনি পরগাছাও জন্মে। আর দেশে এমন কিছু পরগাছা ছিল, তাদের ইচ্ছা ছিল এ দেশ যেন আর উন্নতি না করতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়