হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ : ১০ দিনেই কাজাখ ছেড়ে যাবে রুশ সেনারা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সিএসটিও সামরিক জোটের সেনারা তাদের মূল উদ্দেশ্য পূরণের পর দুই দিনের মধ্যে কাজাখস্তান থেকে সরে যেতে শুরু করবে। পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে তাদের প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। মধ্য এশিয়ার দেশটিতে গুরুতর অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট কাসেম জোমার্ট তোকায়েভের আহ্বানে সেখানে সেনা পাঠায় সিএসটিও। পরে তিনি জানান, উসকানিদাতারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার তোকায়েভ কাজাখস্তানের পার্লামেন্টকে বলেন, ?দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্বপালন করা আলীখান স্মাইলভকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি সম্পদে ব্যবধান কমানো, খনি খাতে কর বাড়ানো ও সরকারি ক্রয়ে অনিয়ম দূর করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। এর একদিন আগে তিনি জানান, সিএসটিও মিশনের অধীনে ২০৩০ জন সেনা ও ২৫০টি সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। এই মিশনের বৈধতা ও সময়সীমা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্ন তোলায় রাশিয়া তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
পার্লামেন্টে দেয়া এক ভিডিও ভাষণে তোকায়েভ বলেন, সিএসটিওর শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রধান উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে প্রত্যাহার শুরু হবে। পুরো বাহিনীর প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগবে না।
গত সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল জানিয়ে, বিদেশি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীদের অভ্যুত্থান থেকে কাজাখস্তানকে রক্ষা করা গেছে বলে দাবি করেন। ১ কোটি ৯০ লাখ জনসংখ্যার দেশ কাজাখস্তানের অধিকাংশ এলাকায় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা গেছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়। অস্থিরতার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যদের ধরার চেষ্টা চলছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, জ¦ালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হলেও সরকারকে উৎখাত করতে চাওয়া কয়েকটি গোষ্ঠী আন্দোলন ছিনতাই করে নেয়।
গত সপ্তাহে সোভিয়েত আমলের পর গত ৩০ বছরের মধ্যে মধ্য এশিয়ার দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা শুরু হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবনগুলো কিছু সময়ের জন্য দখল করে রাখে বা সেগুলোতে আগুন দেয়। জ¦ালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হলেও তা বিস্তৃত হয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য দেশটির কর্তৃপক্ষ ‘চরমপন্থি’ ও ‘সন্ত্রাসীদের’ ওপর দায় চাপায়; এদের মধ্যে কিছু বিদেশিও আছে বলে অভিযোগ করে তারা। দেশদ্রোহিতার সন্দেহে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান করিম মাসিমভকে গত সপ্তাহে আটক করা হয়। এর আগে প্রেসিডেন্ট কাসেম জোমার্ট তোকায়েভ গোয়েন্দা প্রধানের পদ থেকে মাসিমভকে বরখাস্ত করেন; এর তিন দিনের মধ্যেই তাকে আটক করা হয়।
তোকায়েভ তার মন্ত্রিসভাকেও বরখাস্ত করেন। তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে অস্থিরতায় ইতি টানতে প্রয়োজনে গুলি করে হত্যার নির্দেশও জারি করেন তিনি। রাশিয়ার ও কাজাখস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের করা পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, সহিংসতায় ১৬৪ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেনি। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা পোস্টগুলোও সরিয়ে ফেলা হয় বলে জানায় রয়টার্স।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়