হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

পুলিশের ভুয়া অফিস আদেশে প্রতারণা করতেন মাহবুবুর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিজেকে কখনো পুলিশ সুপার (এসপি), কখনো অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয় দিতেন মাহবুবুর রহমান। ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন থানা ও ইউনিটে করতেন তদবির বাণিজ্য। শুধু তাই নয়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের ভুয়া অফিস আদেশ তৈরি করে হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। মামলার রিপোর্ট কার পক্ষে যাবে, সেটির ভুয়া তথ্য দিয়েও প্রতারণা করে যাচ্ছিলেন। এমনই এক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের ভুয়া অফিস আদেশ বানিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
গত সোমবার রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির এলআইসি ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের সমন্বিত একটি টিম। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রতারণা করে তিনি মোট কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি সিআইডি।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ২০১৯ সালে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মতিঝিল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। ওই মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের কথা বলে তদন্ত রিপোর্ট আসামিদের পক্ষে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নেন মাহবুবুর। এজন্য নিজেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের ভুয়া অফিস আদেশ তৈরি করে আসামিপক্ষকে দেন। পরে আসামিপক্ষ অফিস আদেশের সত্যতা জানতে সিআইডি সদর দপ্তরে যোগাযোগ করে। পরে সিআইডি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাহবুবুর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়া ও জমির দালালিসহ বিভিন্ন প্রতারণা করে আসছেন। তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বিত্ত বৈভবের অধিকারী হয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান মুক্তা ধর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়