হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচন : প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি, উন্নয়ন অব্যাহত চায় পৌরবাসী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী থেকে : আসছে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাচন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৭৫ হাজার ৭২৬ জন ভোটার এ দিন মেয়র ও কাউন্সিলর পদে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে নোয়াখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদ উল্যাহ খান সোহেল ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম কিরন, সদ্য জাতীয় পার্টিতে যোগদানকারী সাবেক বিকল্প ধারার নেতা শামছুল ইসলাম মজনু, আওয়ামী সমর্থক (বিদ্রোহী) লুৎফুল হায়দার লেলিন ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মাওলানা শহীদুল ইসলাম।
ইতোমধ্যে পুরোদমেই চলছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণায় যোগ হয়েছে পৌরবাসীর সার্বিক সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রতিশ্রæতির নানা ফুলঝুরি। তবে বিগত সময়ের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় দেখতে চায় সচেতন পৌরবাসী।
গত ৫ বছরের উন্নয়নের ফিরিস্তিতে দেখা গেছে, এই পৌরসভায় এ সময়েই ২১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। বিগত সময়ে সঠিক, দক্ষ ও প্রগতিশীল নেতৃত্বে শহরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্যানিটেশন সুবিধা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, বাজার ব্যবস্থাপনাসহ সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করেছে এ পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভার আপামর নাগরিকরা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতির প্রীতিসিক্ত দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়নে ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আস্থায় নৌকা প্রতীকে ২০১৬ সালে মো. শহিদ উল্যাহ খান সোহেল নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়র পদের দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি উন্নয়ন, মানবিকতা আর মানবতার প্রকাশে অনেকটাই ছিলেন ক্লান্তিহীন, প্রতিশ্রæতিশীল ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
গত ৫ বছরের উন্নয়ন, প্রতিজ্ঞা আর প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নের কথা স্বীকার করে পৌরবাসী বলে থাকেন, শত বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই পৌরসভায় এমন একজন যোগ্য পৌর পিতাকে পেয়েছেন যিনি হয়ে উঠেছেন গণমানুষের প্রিয়জন।
তারা বলেন, দেড়শ বছরের পুরনো নোয়াখালী পৌরসভায় অতীতে যে উন্নয়ন হয়নি বিগত ৫ বছরে উন্নয়নের সেই নি¤œমুখী ধারা বদলে দিয়েছেন মেয়র সোহেল। সে

চিত্র অনেকের কাছে অভাবনীয় ও অকল্পনীয়।
তার উন্নয়নের ছোঁয়ায় প্রশস্ত পাকা রাস্তা, ফুটপাত, খেলার মাঠ, গণ-শৌচাগার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহসহ পুরো পৌরসভাজুড়ে এনেছেন চোখ ধাঁধানো পরিবর্তন।
পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে নোয়াখালী পৌরসভা কর্তৃক বিগত পাঁচ বছরে (২০১৬-২০২১ সাল পর্যন্ত) বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডগুলো যে কারো বিবেককে আচ্ছাদিত না করে পারেন না।
পৌর উন্নয়নের নিরীক্ষায় ও বাস্তবায়িত উন্নয়নের সীমারেখায় ছোট-বড়সহ ২৫৫টি রাস্তা যোগ হয়েছে পাকার খাতায়। যার সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটারের বেশি। রয়েছে ১৬টি আরসিসি ড্রেন, যার সর্বমোট দৈর্ঘ্য সাড়ে সাত কিলোমিটার, রয়েছে ৪টি বক্স কালভার্ট, ৩০ ওয়াটের সোলার এলইডি ৩৩৮টি সড়ক বাতি, পৌর জামে মসজিদ, সোনাপুরে কিচেন মার্কেট, সোনাপুর সুপার মার্কেট, সোনাপুর বাসটার্মিনাল, মাইজদী পৌরসুপার মার্কেট, পৌর নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্প্রসারণের কাজে উৎপাদক ৪টি নলকূপ স্থাপন, ১টি আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্ট, ৩টি ৬৮০ ঘনমিটার ওভারহেড পাওয়ার প্ল্যান্ট, ৩০০ মিলি সঞ্চালন ২০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন, ২০০ মিলি বিতরণ পাইপলাইন ৪০ কিলোমিটার সর্বমোট ২১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
এছাড়া একটি নান্দনিক পৌর পার্ক, মেয়র ভবনসহ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের বিশেষ কিছু প্রকল্পের অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াও যোগ হচ্ছে পৌর মেয়রের উন্নয়নের খাতায়।
এছাড়া নোয়াখালী পৌরসভার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন পৌর মেয়র সোহেল। যে ধারা ভবিষ্যতে আরো বিস্তৃত করা হবে বলে জানান তিনি।
পৌরসভার সচেতন নাগরিকরা জানান, ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে মো. শহিদ উল্যাহ খান সোহেল কথা দিয়েছেন একটি মানবিক, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য নগরীর।
পৌর মেয়রের চেয়ারে দায়িত্ব নেয়ার পরই সেসব ওয়াদার বাস্তবায়নে হাত দেন তিনি। যে কারণে ইতোমধ্যে মেয়র সোহেল জনসমাজে ম্যান অফ কমিটম্যান্ট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন।
সারা বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের এই ভয়াবহতায় লকডাউনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় পৌরসভার গরিব, দুঃখি ও শ্রমিক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, স্যানিটাইজেশন সামগ্রী ও নগদ অর্থ।
মধ্যবিত্তদের বাসায় গোপনে পৌঁছে গেছে সব ধরনের সহযোগিতা। যেসব কারণে তিনি করোনাযোদ্ধা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন।
প্রতি বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের জন্য বিনা খরচে থাকা-খাওয়া, খাবার পানি সরবরাহ, তথ্য দিয়ে সহযোগিতা, আবাসন নিশ্চিতকরণ, নিরাপদে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া, মেডিকেল সেবা প্রদানসহ নানাবিধ সহযোগিতার মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করেন।
এদিকে দিন দিন বাড়ছে নাগরিকদের নানামাত্রিক চাহিদা। সেই নিরিখে এখনো অসম্পূর্ণ আছে অনেক কাজ। এ নিয়ে মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, সমগ্র পৌরসভার যোগযোগ ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বন্যার পানি নিষ্কাশন, একটি ডিজিটাল ও বাসযোগ্য পৌরসভার জন্য আরো অনেক কাজ করতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর। তিনি আরো বলেন, একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল পৌরসভা গঠনে প্রয়োজন দল-মত নির্বিশেষে সব সম্মানিত নাগরিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা।
ক্রমবর্ধমান নাগরিক চাহিদার প্রতি দৃষ্টি দিয়ে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ নোয়াখালী পৌরসভা গড়তে পৌরসভার প্রত্যেকটি কোনায় কোনায় সেবা পৌঁছে দিতে মো. শহিদ উল্যাহ খান সোহেল বদ্ধপরিকর ও অঙ্গীকারবদ্ধ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়