হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

তেরখাদার ভূতিয়ার বিলে পানির ওপরে সবজি চাষ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তেরখাদা প্রতিনিধি : খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার সবচেয়ে বড় পতিত জলাবদ্ধভূমি ভূতিয়ার বিল উপজেলাবাসীর জন্য এক নীরব কান্না। জলাবদ্ধতায় দীর্ঘদিন পতিত থাকায় হতাশ ভূমি মালিকরা। বিশাল জমির মালিকানা থাকলেও তারা কোনো কাজে লাগাতে পারেন না। তবে গত ৩ বছর বিশাল ভূতিয়ার বিলের জমিতে পানির ওপরে কৃষকরা চাষাবাদ করছেন মৌসুমি সবজি। ভাসমান এ সবজি চাষে সাফল্যের হাসি হাসছেন তারা। ফলে বিশাল এই জলাবদ্ধভূমি এখন সবুজ সবজির সমারোহ। সম্পূর্ণ রাসায়নিক সার ও কীটনাশকমুক্ত পরিবেশে ভাসমান বেডে লতাবিহীন সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় দিনের পর দিন এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে।
ভাসমান বেডে চাষাবাদ হচ্ছে- লালশাক, ওলকপি,বলকপি, উচ্চে, শসা, ধনিয়া, ঢেঁড়শ, রসুন, পেঁয়াজ, আলুসহ অন্যান্য শাক-সবজি। গত ২ বছরের চেয়ে এবার বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। একজন ভাসমান সবজি চাষি জানান, বসতবাড়ি ছাড়া আমার কোনো জায়গা-জমি নেই। তাই ভূতিয়ার বিলের মাঝখানে ভাসমান সবজি চাষ করে আমি এখন ভালো আছি। ছেলেমেয়ের পড়ালেখা, নতুন করে ঘর নির্মাণ ও দৈনন্দিন সব খরচ নির্বাহের একমাত্র উৎস আমার ভাসমান সবজি ক্ষেত।
তিনি আরো বলেন, বাজারে এখানকার সবজি নিয়ে গেলে মানুষ প্রতিযোগিতা করে আগে এগুলো কিনে নেয়। সবাই জানে এখানকার সবজি বিষমুক্ত। আমাদের দেখাদেখি অন্যরাও এখন ভূতিয়ার বিলে ভাসমান সবজি চাষাবাদ শুরু করেছে। সবাই লাভবান হচ্ছি। অথচ একটা সময় তো এ বিলে কোনো ফসল আবাদ হতো না। বিলের অন্য কৃষকদেরও একই বক্তব্য।
বর্তমান বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভাসমান সবজি চাষে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। ভাসমান বেডের প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার বিবেকানন্দ (হিরা)
তেরখাদার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, সবজি চাষাবাদে উৎসাহিত করতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজসহ প্রশিক্ষণ দিয়েছি। হাতে-কলমে কৃষকদের বেডে গিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি। প্রতি মাসে ১০-১২ হাজার টাকা আয় হচ্ছে কৃষকদের। তাদের দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসছেন ভাসমান সবজি চাষে। প্রসঙ্গত, সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর আয়তনের ভূতিয়ার বিলে শরৎকালে পদ্মফুল দেখতে ভিড় করেন সৌন্দর্য্য পিপাসুরা। ফলে এ বিলটি এখন ‘পদ্মবিল’ নামেও পরিচিতি পেয়েছে।
এদিকে গতকাল খুলনার ডুমুরিয়ার কৃষকরা তেরখাদার ভূতিয়ার বিলে মাটিয়ার কুল গ্রামের পাশ্বে পানির ওপরে কৃষকদের মৌসুমি সবজি চাষ পরিদর্শন করেন ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার এস এ পিপি সঞ্জয় দেবনাথ, উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওয়াশিংটন গোলদার, অমিত বিশ্বাস, সাংবাদিক শেখ মাহতাব হোসেন, শেখ জাহিদুর রহমান বিপ্লব, ডুমুরিয়া উপজেলা আদর্শ কৃষক ইমরান খানসহ ৩০ জন কৃষক। এ সময় তেরখাদার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন ভূতিয়ার বিলে পানির ওপরে কৃষকদের মৌসুমী সবজি চাষ সম্পর্কে অবহিত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়