হাতিরঝিলের সড়ক বন্ধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

আগের সংবাদ

বিশাল লক্ষ্যমাত্রার বাজেট প্রস্তুতি : সম্ভাব্য আকার ৬,৭৫,১৩৯ কোটি টাকা, আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা

পরের সংবাদ

করোনায় আক্রান্ত লতা মুঙ্গেশকর আইসিইউতে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকরের দেহে প্রাণঘাতী করোনা শনাক্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৯২ বছর বয়সি এই শিল্পীকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তার উপসর্গ ‘মৃদু’ বলে গতকাল মঙ্গলবার লতার ভাগ্নি রচনা শাহ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান।
রচনা বলেন, তিনি ভালো আছেন। বয়স বিবেচনায় সাবধানতার অংশ হিসেবে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আমাদের গোপনীয়তার প্রতি সম্মান দেখানোর অনুরোধ করছি। প্রিয় দিদিকে (ভক্তদের কাছে এই নামেই পরিচিত লতা) আপনাদের প্রার্থনায় রাখুন।
এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে লতা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় করোনাকালে বেশ সাবধানতা বজায় রেখেই চলছিলেন এই কিংবদন্তি। বলা যায় একপ্রকার ‘গৃহবন্দি’ই ছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, লতা মুঙ্গেশকরের ঘনিষ্ঠ কেউ অথবা বাড়ির পরিচারিকা থেকে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন তিনি।
১৯২৯ সালে জন্ম নেয়া লতার পিতা দীনানাথ মুঙ্গেশকর মারাঠি থিয়েটারের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি। তিনি ক্লাসিক্যাল গাইতেন, গান শেখাতেন। তার হাতেই তালিম শুরু লতার। এ ‘নাইটিঙ্গেল অফ ইন্ডিয়া’র আদি নাম ছিল হেমা। মৃত বড় বোনের নাম লতিকা হওয়ার কারণে পরে হেমা হয়ে যায় লতা। মাত্র ১২-১৩ বছর বয়সেই তার বাবা অকালে প্রয়াত হন। তাতে গান শেখায় ছেদ পড়েনি কোনো; কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও গানই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। ‘কিটি হাসাল’ নামে এক মারাঠি সিনেমায় তার প্লে-ব্যাক ক্যারিয়ার শুরু। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। দ্বিতীয় সংগীতশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন ভারতরতœ। ২০১৯ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার তাকে ‘ডটার অব দ্য নেশন’ খেতাবেও ভূষিত করে।
৩৬ ভাষাতে গান গাওয়া লতার অসংখ্য বাংলা গান কয়েক প্রজন্মকে মুগ্ধ করে রেখেছে। ১৯৫৯ সালে সলিল চৌধুরীর পরিচালনায় প্রথম বাংলা গানে কণ্ঠ দেন লতা মুঙ্গেশকর। গানটি ছিল ‘না যেওনা, রজনী এখনো বাকি।’ সলিল চৌধুরীর সুরে এরপর অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন তিনি। তার গাওয়া রঙ্গিলা বাঁশিতে, ও মোর ময়না গো, সাত ভাই চম্পা- এই গানগুলো এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
বিখ্যাত ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার একবার বলেছিলেন, লতা মুঙ্গেশকর আমাকে অনুপ্রাণিত করেন সব সময়। একটা মানুষ সাফল্যের চূড়ায় বসেও কীভাবে এত বিনয়ী হন, এটা আমি শিখেছি লতাজীর থেকে। কাজের প্রতি যে আত্মনিবেদন এটা বিশ্বের যে কেউ শিখতে পারে তার কাছ থেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়