রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন, পুড়ল সহ¯্রাধিক ঘর

আগের সংবাদ

তিন জট থেকে মুক্তির প্রত্যাশা > নাসিক নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের মতামত : জলজট, যানজট ও আবর্জনা জট নারায়ণগঞ্জবাসীর গলার কাঁটা

পরের সংবাদ

বিপিএলে সফল এক অধিনায়কের গল্প

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেশের ক্রিকেটের বাঁকবদলের কাণ্ডারি মাশরাফি বিন মুর্তজা। এক সময় বল হাতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াতেন বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক। তিনি প্রতিপক্ষের সাজানো ব্যাটিং লাইন আপ তাসের ঘরের মতো গুঁড়িয়ে দিতেন। কিন্তু সর্বশেষ গত বছর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মাঠে দেখা গিয়েছিল মাশরাফিকে। এরপর আর কোনো ধরনের ক্রিকেট ম্যাচে খেলতে দেখা যায়নি তাকে। ইনজুরির কারণে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকায় বল হাতে নেননি কিছু দিন। তবে চলতি মাসে জনপ্রিয় ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলবেন মাশরাফি। আসন্ন বিপিএলে তিনি খেলবেন ঢাকার জার্সি গায়ে। একই দলে আছেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ক্রিকেটপ্রেমীরা জানেন, বিপিএলে সফল অধিনায়ক মাশরাফি। তাছাড়া এই টুর্নামেন্টের শিরোপা-ভাগ্য ববাবরই মাশরাফির সঙ্গে থাকে। বিদেশি তারকায় ঠাসা গত বিপিএলের সাত আসরের ৪টি শিরোপা জিতেছেন মাশরাফি। তিনি চারবার অধিনায়ক ও একবার শুধু খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা লুফে নিয়েছেন। যা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলে আর কোনো অধিনায়ক এই রেকর্ড গড়তে পারেননি।
ম্যাশের নেতৃত্বে ঢাকা, কুমিল্লা রংপুর ও খুলনা বিপিএিলের শিরোপা ঘরে তুলেছে। এর আগে বিপিএলের প্রথম ও দ্বিতীয় আসরে ২০১২ ও ২০১৩ বিপিএলে মাশরাফির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা গø্যাডিয়েটরস। এরপর ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে শিরোপা জেতেন তিনি। ২০১৭ সালে তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর রাইডার্স। এরপর ২০২০ সালে জেমকন খুলনার জার্সিতে খেলোয়ার হিসেবে শিরোপা জেতেন। কিন্তু এ টুর্নামেন্টে খেলা মাশরাফির জন্য এতটা সহজ ছিল না। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। এরপর টুর্নামেন্টের মাঝপথে জেমকন খুলনার হয়ে মাঠে নামেন মাশরাফি। তবে যাই হোক কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে একজন অধিনায়কই বারবার শিরোপা জিতেছেন, এমন নজির কোথাও নেই। ক্রিকেটবিশ্বকে সেই নজিরই দেখেছেন কোটি বাঙালির আস্থার প্রতীক মাশরাফি। তাই এবারো তিনি খেললে বিপিএলের জৌলুস অনেক বেড়ে যাবে। আসন্ন এই টুর্নামেন্টে ঢাকার জার্সি গায়ে মাঠ মাতাবেন মাশরাফি এমনটাই প্রত্যাশা ভক্তদের। এছাড়া দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিপিএলের উন্মাদনা। ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। সে আসরে ৬টি দল অংশগ্রহণ করে। ফাইনালে উঠে ঢাকা গø্যাডিয়েটরস ও বরিশাল বার্নার্স। ফাইনালে বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়ে মাশরাফির নেতৃত্বে বিপিএলের প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে ঢাকা। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ঢাকার ইমরান নাজির ও টুর্নামেন্ট সেরা হন খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের হয়ে খেলা সাকিব আল হাসান। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে অংশগ্রহণ করে সাত দল। নতুন দল হিসেবে এ আসরে যুক্ত হয় রংপুর রাইডার্স। এ আসরেও শিরোপা জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে ঢাকা। টানা দ্বিতীয়বার অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জয়ের স্বাদ পান মাশরাফি। এছাড়া টানা দ্বিতীয় আসরেও টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান। তবে পার্থক্য শুধু প্রথম আসরে খুলনাতে খেললেও দ্বিতীয় আসরে সাকিব খেলেন চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে। দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে ঢাকা মুখোমুখি হয় চিটাগাং কিংসের। কিংসকে ৫২ রানে হারায় ঢাকা। তবে ফিক্সিং কাণ্ডের পর বিপিএলের তৃতীয় আসরে আমূল পরিবর্তন আসে। প্রতিটি দলের মালিকানায়ও আসে পরিবর্তন। পরিবর্তিত হয় প্রায় সব দলের নামও। এছাড়া এ আসরে নতুন দল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। প্রথমবার বিপিএলে অংশগ্রহণ করেই বাজিমাত করে ভিক্টোরিয়ান্স। টানা দুই আসরে ঢাকার হয়ে খেলা মাশরাফি এ আসরে দায়িত্ব নেন কুমিল্লার। সেই সঙ্গে টানা তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তিনি। ফাইনালে বরিশাল বুলসকে ৩ উইকেটে হারায় মাশরাফির দল। এক আসর পর ফের শিরোপা নিজেদের ঘরে নিয়ে ফিরিয়ে আনে ঢাকা। এ অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করা দল ঢাকা ডায়নাময়াইটস শিরোপা জিতে নেয় এবার। এছাড়া প্রথমবারের মতো মাশরাফি ছাড়া অন্য কোনো অধিনায়ক বিপিএলের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়।
– কামরুজ্জামান ইমন

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়