রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন, পুড়ল সহ¯্রাধিক ঘর

আগের সংবাদ

তিন জট থেকে মুক্তির প্রত্যাশা > নাসিক নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের মতামত : জলজট, যানজট ও আবর্জনা জট নারায়ণগঞ্জবাসীর গলার কাঁটা

পরের সংবাদ

নিউইয়র্কে ভবনে আগুন ৯ শিশুসহ নিহত ১৯

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ঘর গরম রাখার হিটারের গোলযোগ থেকে নিউইয়র্কের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে নয় শিশুসহ অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আরো ৩২ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিবিসি জানায়, গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে ব্রংঙ্কসের টুইন পার্কসের নর্থ ওয়েস্ট ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘর গরম রাখার হিটারের গোলযোগ থেকে লাগা ওই আগুনের ধোঁয়া পুরো ভবনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর প্রায় ২০০ জন সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। তল্লাশির সময় ১৯ তলা ভবনটির প্রতিটি তলায় লাশ পাওয়া গেছে বলে জানান স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কমিশনার ড্যানিয়েল নিগ্রো। গত ৩০ বছরে অগ্নিকাণ্ডে নিউইয়র্কে একসঙ্গে এত মৃত্যু দেখা যায়নি বলে এনবিসি নিউজকে বলেন তিনি। এর আগে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া শহরের আরেকটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুন লেগে আট শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়।
রবিবারের আগুন দুটি তলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এর ধোঁয়া সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, জানান কমিশনার নিগ্রো। আগুনের সূত্রপাত যে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সেটির দরজা খোলা থাকায় সব তলায় ধোঁয়া পৌঁছে যায়। তিনি বলেন, অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা প্রত্যেক তলার সিঁড়িতে মৃতদেহ খুঁজে পায়, ‘দমবন্ধ ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ’ অবস্থায় তাদের বের করে আনা হয়। প্রতিবেশী জর্জ কিং জানান, আগুন ছড়িয়ে পড়ার সময় লোকজন জানালা দিয়ে হাত নাড়ছিল। আমি ধোঁয়া দেখেছি। বহু লোক আতঙ্কে চিৎকার করছিল। তবে ভবনটি থেকে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছিল না। মেয়র অ্যাডামসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা স্টিফেন রিঙ্গেল জানান, মোট ৬৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আর ১৩ জন সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন।
নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর ক্যাথি হকল রবিবারের ঘটনাকে ‘শোচনীয় এক রাত’ বলে বর্ণনা করে একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন বাড়িতে ওঠা, মৃতদের দাফনের খরচ ও অন্যান্য প্রয়োজনের অর্থ সাহায্য দেয়া হবে। ব্রঙ্কসের যে এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে বহু মুসলিম অভিবাসী বসবাস করে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকাংশই গাম্বিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়