রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন, পুড়ল সহ¯্রাধিক ঘর

আগের সংবাদ

তিন জট থেকে মুক্তির প্রত্যাশা > নাসিক নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের মতামত : জলজট, যানজট ও আবর্জনা জট নারায়ণগঞ্জবাসীর গলার কাঁটা

পরের সংবাদ

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা : নেত্রনালির বদলে ছানি অপারেশন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নেত্রনালি অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর এক পোশাক কর্মীর চোখের ছানি অপারেশন করে কৃত্রিম ল্যান্স লাগিয়ে দিয়েছেন এক চিকিৎসক। এর ফলে ওই তরুণী এখন দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। চোখের ভুল চিকিৎসার অভিযোগে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নগরীর খুলশী থানায় গত ৯ জানুয়ারি করা এ মামলায় লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিনহাজুল হকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো তিন থেকে চারজন ডাক্তার ও নার্সকে আসামি করা হয়।
খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, নগরের দেওয়ান হাট এলাকার হালিমা নামে এক রোগীর ভাই আবুল হোসেন আকাশ ভুল চিকিৎসার অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। তার অভিযোগ, বোনের নেত্রনালির
সার্জারি করার কথা থাকলেও অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার বদলে চোখে লেন্স বসানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে জানা যাবে, প্রকৃত ঘটনা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী হালিমা নেত্রনালি সমস্যা নিয়ে লায়ন্স হাসপাতালে ডা. ফারহানা আফরোজের শরণাপন্ন হন। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নেত্রনালি অপারেশনের পরামর্শ দেন এবং ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিজানুল হকের কাছে পাঠিয়ে দেন। গত ৮ জানুয়ারি অপারেশনের তারিখ ঠিক হয়। কথা ছিল ৬ হাজার টাকায় হবে অপারেশন। কিন্তু অপারেশন শেষে চিকিৎসক জানান, চোখের লেন্স লাগানোর কারণে খরচ পড়েছে ১৫ হাজার। রোগীর স্বজনরা ১৫ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করলে ১২ হাজার টাকায় নেমে আসে চিকিৎসক। এ সময় রোগী হালিমা জানান, তার নেত্রনালির অপারেশন না চোখের লেন্স লাগিয়েছেন চিকিৎসক। রোগীর এমন অভিযোগের পর চিকিৎসক কিছু না বলে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন। পরে হালিমার চোখে ব্যথা অনুভব করলে ও চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু হলে চিকিৎসক মিজানুল হককে বারবার ডাকার পরও তিনি আর হাসপাতালে আসেননি।
অভিযোগকারী রোগীর ভাই আবুল হোসেন আকাশ বলেন, চিকিৎসক ভুল চিকিৎসা করে আমার বোনকে হাসপাতালে রেখে চলে যান। আমার বোনের এমন অবস্থার পরও হাসপাতালের কেউ আমাকে সহায়তা করেনি। বাধ্য হয়ে আমাকে মামলা দায়ের করতে হয়। পরে হাসপাপাতালের কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তার আমাকে ডেকে বলেন যে, হালিমা নামে দুজন রোগী ভর্তি থাকায় ভুল হয়েছে। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কোনো খরচও দিতে হবে না। আমার বোনের চোখ যদি নষ্ট হয়ে যায়, এর দায় কে নেবে? ডাক্তারদের নিতে হবে। এর বিচার হতে হবে।’ ভুল চিকিৎসার শিকার হালিমা (১৮) নগরীতে একটি সোয়েটার কারখানায় কর্মরত। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলায়, তিনি দেওয়ান হাট এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত চিকিৎসক মিজানুল হকের মন্তব্য জানা যায়নি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লায়ন্স চট্টগ্রাম জেলার কেবিনেট সেক্রেটারি এসএম আশরাফুল আলম আরজু বলেন, কেবিনেট সদস্যরা ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে মূল ঘটনা কী সেটা খতিয়ে দেখবেন। তারপর বিষয়টি বলা যাবে। এ সময়ের মধ্যে হাসপাতালের দায়িত্বে রোগীর চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়