রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন, পুড়ল সহ¯্রাধিক ঘর

আগের সংবাদ

তিন জট থেকে মুক্তির প্রত্যাশা > নাসিক নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের মতামত : জলজট, যানজট ও আবর্জনা জট নারায়ণগঞ্জবাসীর গলার কাঁটা

পরের সংবাদ

একদিনের ব্যবধানে সূচকের বড় উত্থান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : একদিনের ব্যবধানে গতকাল সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
সূচক ও লেনদেনের পাশাপাশি দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক ডজন কোম্পানির শেয়ার দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। এমনকি একপর্যায়ে এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারের বিক্রেতাও উধাও হয়ে যায়।
এর আগে নতুন বছরের প্রথম পাঁচ কার্যদিবস পুঁজিবাজার টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এতে বছরের প্রথম সপ্তাহেই প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ২৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর বাজার মূলধন বাড়ে ১৫ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রবিবার কিছুটা দরপতন হয়। ডিএসইর প্রধান সূচক ৫৪ পয়েন্ট পড়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে যায়। একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট কমে যায়। এতে আবারো দরপতনের শঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। অবশ্য বেলা ১১টার পর থেকে আবার বদলাতে থাকে চিত্র। পতনের তালিকা থেকে বেরিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান। যিনি অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৯৯৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৬১ কোটি ৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৮টির। আর ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে সূচকের বড় উত্থানের বাজারে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার। কোম্পানিটির ১০১ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৯৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৫ কোটি ৫৮ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৬৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৭টির ও ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত : সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২০টি খাতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৭৭টি কোম্পানির এক হাজার ৪৮৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। খাতগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর সর্বোচ্চ ১৪.৮২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর ২১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার বা ১৪.৮২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা ১২.১২ শতাংশ বিবিধ খাতে এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৭২ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা ১১.৭৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর। এ ছাড়া বিমা খাতে ১৮০ কোটি টাকা বা ১২.৩১ শতাংশ, রসায়ন খাতে ১১০ কোটি ৫ লাখ টাকা বা ৭.৫৬ শতাংশ,
ব্যাংক খাতে ৯৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ৬.৪২ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৮৭ কোটি ১০ লাখ বা ৫.৯৬ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৬৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ৪.৬১ শতাংশ, খাদ্য খাতে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ বা ৪.৪৮ শতাংশ, টেলিযোগাযোগ খাতে ৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ৪.৪৩ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৫৩ কোটি ২০ লাখ বা ৩.৬৪ শতাংশ, চামড়া খাতে ৫৩ কোটি ৩ লাখ টাকা বা ৩.৬৩ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা ২.৩৭ শতাংশ, পেপার খাতে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ২.২৯ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২২ কোটি ২০ লাখ টাকা বা ১.৫২ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৫ কোটি বা ১.০৩ শতাংশ, মিউচুয়াল খাতে ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ০.৫৭ শতাংশ, সিরামিক খাতে ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ০.৪৬ শতাংশ এবং পাট খাতে ৮৩ লাখ টাকার বা ০.০৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়