সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

৩ জনের মৃত্যু : করোনা শনাক্ত দেড় হাজারের কাছাকাছি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জানুয়ারির শুরুতে শনাক্তের হার তিন শতাংশের নিচে থাকলেও এখন তা প্রায় ৭ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। গত ২ জানুয়ারিও দৈনিক রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৫৭ জন। ছয় দিনের ব্যবধানে তা প্রায় দেড় হাজার ছুঁইছুঁই। গত এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগী বেড়েছে ১১৫ শতাংশ।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৮৫২টি পরীক্ষাগারে ২১ হাজার ৯৮০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ১ হাজার ৪৯১ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২৫৪ জনই ঢাকা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, সুস্থ হয়েছেন ২১৭ জন।
এর আগে গত শনিবার ১৯ হাজার ২৭৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ১ হাজার ১১৬ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। শুক্রবার ২০ হাজার ২০৪টি নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয় ১ হাজার ১৪৬ জন। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। মৃত্যু হয় ১ জনের। বৃহস্পতিবার ২৩ হাজার ৪৩৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়। সংক্রমণ ধরা পড়ে ১ হাজার ১৪০টিতে। ৭ জনের মৃত্যু হয়। আর ওই দিন পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৮৬। বুধবার ২১ হাজার ২৫১টি নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয় ৮৯২ জন। শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
গতকাল দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহে দেশে ১ লাখ ৩৪ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় আড়াই শতাংশ বেশি। এতে ৭ দিনে ৬ হাজার ৩০০ জনের মতো নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ হাজার ৩৭৬ জন বেশি। এক সপ্তাহে ১১৫ শতাংশ বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া এক সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
তিনি আরো বলেন, সামগ্রিকভাবে গত দুই মাসে সংক্রমণের হার ২ শতাংশ বা তার নিচে ছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহে শনাক্তের হার একটু একটু করে বাড়ছে। গত ৩০ দিনের চিত্রের দিকে তাকালে একটি ঊর্ধ্বমুখী চিত্র চোখে পড়ে। সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন নাজুক হয়ে যাচ্ছে। ইউরোপে ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে ব্যাপকভাবে।
দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবস্থা ও সংখ্যা সম্পর্কে নাজমুল ইসলাম বলেন, রোগীদের ব্যক্তিগত তথ্য না জানিয়ে বলতে চাই, ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকেই একেবারেই সুস্থ আছেন। আক্রান্তদের যথাসময়ে চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে। তাহলে যে কোনো রোগ দ্রুত সারানো সম্ভব হবে।
করোনা বাড়তে থাকায় সংক্রমণ হার কমাতে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি, মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্ব তুলে ধরেন অধ্যাপক নাজমুল। তিনি বলেন, ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ এ কথাটি আমাদের স্মরণে রাখতে হবে সব সময়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৭১ হাজার ৭৯৫টি। এর মধ্যে রোগী শনাক্ত হয় ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭০০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৯০৫ জন। আর মোট প্রাণহানির সংখ্যা ২৮ হাজার ১০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৯৬৯ জন এবং নারী ১০ হাজার ১৩০ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে পুরুষ ১ জন আর নারী ২ জন। বয়স বিবেচনায় বিশোর্ধ্ব ১ জন, আর ষাটোর্ধ্ব ২ জন। বিভাগ বিবেচনায় ঢাকা বিভাগের ২ জন আর চট্টগ্রাম বিভাগের ১ জন, ৩ জনই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়