সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল : অকার্যকর অনুসন্ধান ডেস্ক, তথ্য না পেয়ে ভোগান্তি রোগীদের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল। স্বাস্থ্যসেবা প্রত্যাশীদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে প্রায় ১ বছর আগে স্থাপন করা হয়েছে অনুসন্ধান ডেস্ক। সাঁটানো হয়েছে সাইনবোর্ড। কিন্তু এর কার্যক্রম চালু হয়নি। এতে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কক্ষ খুঁজে পেতে হয়রান হতে হয় সেবাপ্রত্যাশীদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুল জায়গায় অনুসন্ধান ডেস্কের ব্যবস্থা করায় চালু করা যাচ্ছে না। এতে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের সিচনি গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিনের (৩৫) হাঁটুর ব্যথা নিয়ে গত শনিবার সদর হাসপাতালে আসেন। জরুরি বিভাগে দেখানোর পর তাকে এক্সরে করাতে ২০ নম্বর কক্ষে পাঠান ডাক্তার। এরপর টোকেন হাতে নিয়ে খুঁজতে থাকেন কক্ষটি। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেও সন্ধান পাচ্ছিলেন না। পরে এ প্রতিবেদকের সাহায্যে এক্সরে রুমের সন্ধান পান তিনি।
রুহুল আমিন বলেন, আমার পায়ের ব্যথা। হাঁটতে পারি না। এজন্য ডাক্তার দেখাতে সুনামগঞ্জ এসেছি। জরুরি বিভাগে দেখানোর পর ২০ নম্বর কক্ষ থেকে এক্সরে করাতে বলেন। ওই কক্ষ বের করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
শুধু রুহুল আমিন নন, তার মতো অনেক সেবাপ্রত্যাশীকে হাসপাতালে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ৮ তলা ভবনের নিচ তলায় অনুসন্ধান ডেস্ক থাকলেও এর কার্যক্রম না থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।
মো. ফয়েজ মিয়া নামে আরেক সেবাপ্রত্যাশী বলেন, ১৫ দিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হই। এখন বুকে ব্যথা। কাউন্টার থেকে টিকেট নিয়েছি। ডাক্তারের রুম খুঁজে পাচ্ছি না।
সুমন মিয়া বললেন, আমার ১৪ মাস বয়সি ছেলের ঠাণ্ডা লেগেছে। কয়েক দিন হলো তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এত বড় হাসপাতালে এসে বোকা বনে যেতে হয়। এক কক্ষ থেকে আরেক কক্ষে যেতে ঘুরতে হয়। অনুসন্ধান ডেস্ক চালু থাকলে সেবা পাওয়া আরো সহজ হতো।
সুনামগঞ্জ জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক সালেহীন চৌধুরী শুভ বলেন, হাসপাতালে সব অদ্ভুত নিয়ম। দেয়ালে লেখা হয়েছে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ছবি, ভিডিও করা যাবে না। কেন এই নিয়ম করা হয়েছে সেটা বুঝি। এখানে অনুসন্ধান ডেস্ক রয়েছে, তবে এর কার্যকারিতা নেই। লিফট প্রায়ই অচল থাকে, মূল দরজায় প্রতিনিয়ত বিকট শব্দে বাঁশি বাজিয়ে রোগীদের স্নায়ুবিক সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, ৭ ফুট লম্বা একটি কলাপসিবল গেট লাগবে নিচ তলার সিঁড়ির পাশে। গণপূর্ত অফিস তাদের মতো করে অনুসন্ধান ডেস্ক করেছে। আমি জানতাম না। পরে দেখার পর ডেস্কটি সামনে নিয়ে এসেছি। এখন বলেছি কলাপসিবল গেট লাগিয়ে ঠিক করে দেয়ার জন্য। তারা কাজ শেষ করে দিলে অনুসন্ধান ডেস্কের কাজ শুরু করতে পারব।
সুনামগঞ্জ গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মমিনুল হক বলেন, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ৮ তলাবিশিষ্ট নতুন ভবন করা হয়েছে। ভবনের ডিজাইনে যেখানে ছিল সেখানে অনুসন্ধান ডেস্ক দেয়া হয়েছে। এখন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে সরানো দরকার তাহলে সরাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়