সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

বিসিএলে সাকিব ঝলক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে ফরম্যাট মাঠে গড়িয়েছে গতকাল। এদিন সিলেটে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে মুখোমুখি হয় সাকিবের ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। তারা টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭৭ রানে অলআউট। জবাবে সাকিব, সৌম্য ও মুরাদের বোলিং ঘূর্ণিতে ৪৭.১ ওভারে ১৫৫ রান তুলে গুটিয়ে যায় ইসলামী ব্যাংক। ফলে ২২ রানে জিতেছে ওয়ালটন। সাকিব, সৌম্য ও মুরাদ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এছাড়া দিনের অন্য ম্যাচে বড় জয় দিয়ে বিসিএল শুরু করেছে বিসিবি নর্থ জোন। বোলিং-ব্যাটিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে মোস্তাফিজের বিসিবি সাউথ জোনকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ইমন-নাইমের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে সহজে জিতেছে বিসিবি নর্থ জোন। যাই হোক বিসিএল ওয়ানডে ফরম্যাটে দুদলের মধ্যে লড়াই হয়েছে বেশ। বল হাতে সাউথ জোনকে ১৬২ রানে গুটিয়ে দেন শফিকুল-সানজামুলরা। জবাবে ইমন-নাইমের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ১৬৩ রানের লক্ষ্য ছুঁতে তেমন কষ্টই হয়নি নর্থ জোনের।
এদিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি মধ্যাঞ্চল। তারা ১৫ ওভার না যেতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। সৌম্য, মিজান ও মজিদের মতো তারকা ব্যাটসম্যানরা জ¦লে উঠতে পারেনি। দলীয় ৩৬ রানে আউট হন সৌম্য। তিনি ১৩ রানে রুবেলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন। আর মিজান ৩৬ ও মজিদ ৮ রান করে আউট হন। এরপর দলের হাল ধরেন সাকিব ও মিঠুন। তবে এদিন সবার দৃষ্টি ছিল সাকিবের দিকে, কিন্তু তিনি থিতু হয়েও আলো ছড়াতে পারেননি। খেলছিলেন ধীরে-সুস্থে। স্ট্রাইকরেট ছিল ৬০ এর নিচে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো লাভ হয়নি।
খোলস ছেড়ে বের হতে চেয়ে ধরা পড়েছেন ডিপ মিড উইকেটে, আউট হয়েছেন তানভীর ইসলামের বলে। ক্যাচ নিয়েছেন রনি তালুকদার। ৫৮ বলে ২ চারে ৩৫ রান করেন সাকিব। কিন্তু ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে প্রথম ম্যাচে শুরুটা ভালো করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে সাকিব আউট হলেও সাবলীল ছিলেন মিঠুন। একমাত্র ব্যাটসম্যান যার স্ট্রাইকরেট ছিল ১০০। কিন্তু তিনিও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩৭ বলে ৩৭ রান করে আউট হন মিঠুনও। এছাড়া মোসাদ্দেক ১৭ ও জাকের আলী অনিক আউট হন ১৫ রান করে। ফলে ৪৩.২ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট হয় দলটি। বল হাতে ইসলামী ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন রুবেল হোসেন ও রেজাউর রহমান রাজা। ১৭৮ রানের জবাবে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ইসলামী ব্যাংকের আশরাফুল। তিনি রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেন। এরপর দলের হাল ধরেন ইমরুল ও রনি। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ২৫ রানে আউট হন। আর রনি ৩৮ রানে আউট হন। সাকিব ও মুরাদের ঘূর্ণিতে ১১৩ রানে ইসলামী ব্যাংক ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তুলে গুটিয়ে যায় তারা। বল হাতে ওয়ালটনের সাকিব, সৌম্য ও মুরাদ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এছাড়া সিলেটে দিনের অন্য ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে সাউথ জোন। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন পিনাক ঘোষ-তৌহিদ হৃদয়। ৭৬ বলে ৪৭ রান করে নাঈম ইসলামের বলে বোল্ড হন পিনাক।
সাজঘরে ফিরলে ছন্দপতন ঘটে বিসিবি সাউথের। এরপর আর কেউ ব্যাট হাতে কোমড় সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। শরিফুল ও সানজামুলদের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তৌহিদ দারুণ ব্যাটিং করে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন, তবে সঙ্গে কাউকে পাননি। ৭৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন তিনি। ১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন নাহিদুল ইসলাম।
১৬২ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই এক ওপেনার তানজিদ হাসানকে হারালেও আরেক ওপেনার ইমন খেলে গেছেন নিজের মতো। তিনি কামরুল ইসলাম রাব্বিকে ডিপ এক্সট্রা কাভারে দারুণ চারে ৪৯ বলে ফিফটি তুলে নেন। এরপর মেহেদির বলে এলবিডব্লিউ হন ইমন। তার আউটে ভেঙে যায় দ্বিতীয় উইকেটে ৯১ রানের জুটি। ৫৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় সমান ৫৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মারকুটে এই ব্যাটসম্যান। তারপরের দায়িত্বটুকু সামলেছেন নাইম ইসলাম ও মার্শাল আইয়ুব। অভিজ্ঞ এই যুগলের কাঁধে ভর করেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে নর্থ জোন। নাইম ৮৪ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৬৬ আর মার্শাল ৪১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়