সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

বিধিনিষেধে প্রজ্ঞাপন হতে পারে আজ : সবাইকে টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার চেষ্টা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন না দিয়ে বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে সরকার। গত ৩ জানুয়ারি ওমিক্রন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তই নেয়া হয়। ওই দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ১৫ দিনের মধ্যেই তা প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এরপরের দিন এই সময়সীমা কমে সাত দিন করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। আর গতকাল রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিকালে (গতকাল) বা আজ সোমবারের মধ্যে বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এরপর শিগগিরই তা বাস্তবায়ন শুরু হবে।
গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যাবিশিষ্ট হার্ট, কিডনি ও ক্যান্সার চিকিৎসার সমন্বিত ইউনিট স্থাপনের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের জানান, শনাক্তের হার যখন থেকে বাড়ছে তখন থেকেই সতর্কবাণী দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কেউ মানছে না। ফলে সংক্রমণের হার বাড়ছে। এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন হতে হবে। সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় চলমান শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের

টিকা দিতে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। শনিবার মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের স্বাক্ষর করা এক অফিস আদেশ গতকাল জারি করা হয়। অফিস আদেশে দেশের সব অঞ্চলের পরিচালক (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা), সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সব উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল দুপুরে ড?্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৯ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সবাইকে টিকার আওতায় এনে কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারি, সে চেষ্টাই চালানো হবে। যদি মনে হয় খোলা রাখলে সংক্রমণ বাড়বে, খোলা থাকার কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেব।
গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা বলছেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, হয়ে যাচ্ছে, তারা শুধু একটি সেনসেশন ক্রিয়েট করার জন্য বলছেন। তারা সব সময়ই গুজব ছড়ায়, গুজবে কান দেবেন না। যদি বন্ধ করতে হয় আমরাই বলব। প্রয়োজনে বন্ধ করব। যতক্ষণ পর্যন্ত সেই প্রয়োজন মনে না করব ততক্ষণে আমরা বন্ধ করব না। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক একটা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাক। কাজেই সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবার কাছে আমার আবেদন, আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়