সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

বাণিজ্যমেলা প্রতিদিন : জমজমাট মেলায় বেচাকেনা কম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক :ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা জমে উঠলেও বেচাকেনা কম। মেলায় ঢাকার বাসিন্দাদের থেকে স্থানীয় লোকজনের আনাগোনা বেশি। বাণিজ্যমেলা দূরে হওয়ার ঢাকার ক্রেতাদের পণ্য কেনায় আগ্রহী কম। সব মিলে মেলায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বাড়লেও বেচাকেনা আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম। গতকাল রবিবার পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দোকানিরা বলছেন, এত দূরের মেলা থেকে ঢাকাবাসী পণ্য কিনবেন না, এটাই স্বাভাবিক। কারণ পণ্য নিয়ে যাওয়ার ঝুঁঁকি আছে। ঢাকাবাসী ছাড়া বাণিজ্যমেলা জমে না, আবার গ্রামের মানুষ (পূর্বাচলের আশপাশ এলাকা) বাণিজ্য মেলার গুরুত্ব বোঝে না। এ ব্যাপারে আগ্রহও দেখায় না। মেলার বেশ কয়েকটি স্টল ও প্যাভিলিয়নের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, বাণিজ্যমেলায় প্যাকেজ অফার করেও মিলছে না কাক্সিক্ষত ক্রেতা। এমনকি একটি কিনলে ১০টি ফ্রি, তবু ক্রেতা টানতে পারছে না ছোট স্টলগুলো। তারা আরো বলছেন, কাছাকাছি অবস্থানে থাকা কিছু মানুষ মেলায় এলেও শহরের মাঝামাঝি কিংবা দূরদূরান্তে যারা থাকছেন, তারা ৪-৫ ঘণ্টা জ্যাম ঠেলে এত দূরে রাস্তায় আসতে চাইছেন না।
ক্রোকারিজ পণ্যের স্টল কিয়ামের মামুন নামের এক কর্মচারী বলেন, ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া দূর থেকে যারা আসছেন, তারা পণ্য কিনছেন কম। কারণ মেলা প্রাঙ্গণে তারা কোনোমতে আসতে সক্ষম হলেও যাওয়ার সময় গণপরিবহনে উঠতে তাদের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেলায় এসে পছন্দের জিনিসপত্র কিনে বহন করে নেয়া খুব কষ্টের। মেলার স্থান শহরের বাইরে হওয়া এবং এখানে যাতায়াত ব্যবস্থাটি সহজলভ্য নয় বলেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম। যারাই পূর্বাচলের বাণিজ্য মেলায় আসছেন, তারা ঘুরছেন-দেখছেন বেশি, পণ্য কিনছেন কম।
ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নে কর্মরত নাদিম বলেন, এমন একটা জায়গায় মেলা হচ্ছে, যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। মেলায় অংশ নেয়ার আমাদের মুখ্য অর্জন পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রচারণা।
একই অবস্থা স্মার্টফোন ও ট্যাবের স্টলেও। বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ছাড় দিচ্ছে কোরিয়ান ব্র্যান্ড স্যামসাং। প্রতিটি সেটে ইএমআই সুবিধা ছাড়াও ক্রেতারা বিভিন্ন স্যামসাং ডিভাইসে ১০ শতাংশ ও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইলে দামভেদে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় ও নানা উপহারে ক্রেতাদের টানছে মোবাইল কোম্পানিগুলো। ফোন কিনলে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ইএমআই সুবিধা, নগদ ছাড়, লটারির মাধ্যমে উপহার ও অ্যাকসেসরিজ ফ্রি দিচ্ছে ব্র্যান্ডগুলো। মেলায় স্যামসাং ছাড়াও অপ্পো, রিয়েলমি, শাওমি, টেকনো, ভিভো, ওয়ালটন, ওয়ান প্লাসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া স্মার্টফোনের জন্য আনুষঙ্গিক গ্যাজেট ও অ্যাকসেসরিজ নিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। এবারের মেলায় দেশে প্রথমবারের মতো সবার জন্য ৫জি এক্সপেরিয়েন্স জোন করা হয়েছে। মোবাইল অপারেটর টেলিটকের পরিচালনায় ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এই জোনে এসে দর্শকরা সরাসরি ৫জি অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। কিন্তু মেলায় ভিড় বাড়লেও ক্রেতা অনেক কম।
উল্লেখ্য, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ১৬২টি স্টল রয়েছে। ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুটি হলে প্যাভিলিয়ন ও স্টল তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়েছে। এছাড়া কমপ্লেক্সের বাইরেও রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়