সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

বন্ধ জুটমিল চালুর দাবি : খুলনায় বেসরকারি পাটকল শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাবুল আকতার, খুলনা থেকে : খুলনার শিরোমণি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানাধীন বন্ধ মহসেন, জুট স্পিনার্সসহ সব মিল চালু ও বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
গতকাল রবিবার বেলা ১১টার দিকে বেসরকারি পাট, সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন ও ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি জুটমিলের বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিকদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল থেকে বিভিন্ন জুটমিলের শ্রমিকরা শিরোমণি হুগলী বিস্কুট কোম্পানির শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে জড়ো হতে থাকেন।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে মহসেন জুটমিলের শ্রমিকরা একটি বিশাল মিছিল নিয়ে সেখানে পৌঁছানোর পর সব শ্রমিক একত্রিত হয়ে মিছিল সহকারে খুলনা-যশোর মহাসড়কে উঠতে গেলে খানজাহান আলী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ শ্রমিকদের মিছিলের সামনে ব্যারিকেড দেয়। এজন্য শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে সেøাগান দিতে থাকেন। এ সময় সেখানে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়, আশপাশের দোকানাপাট এবং খানজাহান আলী থানা রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শ্রমিকরা সেখানেই দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন।
বেসরকারি পাট, সুতা, বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালনায় এ সময় বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের দাবি আদায়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন আমাদের ব্যারিকেড দিয়েছে। শ্রমিক নেতারা বলেন, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করার আগ পর্যন্ত মিল থেকে কোনো মালামাল বের হবে না, তারপরও মিলের মালামাল রাতের আঁধারে বের করা হচ্ছে। জুট স্পিনার্স মিলের মালিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে মিল চালু ও শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে চেয়েছিলেন। মিল কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করেনি। মহসেন জুটমিলের শ্রমিকরা ৮ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের চূড়ান্ত পাওনা পায়নি। শিরোমণি হুগলী বিস্কুট কোম্পানির শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করা না হলে ১৪ জানুয়ারি শিরোমণি শহীদ মিনারে শ্রমিক জনসভা থেকে লাগাতার রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শ্রমিক নেতারা। এ সময় বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল খান, খানজাহান আলী থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার স ম রেজওয়ান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কারি আসহাব উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিল কাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন, খানজাহান আলী থানা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আ. সাত্তার মোল্লা, মো. সেকেন্দার আলী প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়