সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে হিমাংশু বর্মণ নামে এক যুবক মারা যাওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফা জামানকে। অন্য সদস্যরা হলেন- গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি আমিরুল ইসলাম ও কোর্ট ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল রবিবার দুপুরে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। নিহত হিমাংশু বর্মণের বাড়ি উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা গ্রামে। তার বাবার নাম বিশ্বেশ্বর বর্মণ।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গত শুক্রবার সকালে হিমাংশুর স্ত্রী সাবিত্রী রানী নিজ বাড়িতে খুন হন বলে জানতে পারেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে হিমাংশুকে তার স্ত্রীর মরদেহের পাশে দেখতে পান। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমসহ একদল পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে ওই মরদেহসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিমাংশু ও তার বড় মেয়ে পিংকীকে (১৩) থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। হিমাংশুর বাবা বিশ্বেশ্বর বর্মণের দাবি, এক লাখ টাকা দিতে না পারায় হিমাংশুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে পুলিশ। তার ভাষ্যমতে, শুক্রবার দুপুরে ছেলেকে থানায় দেখতে গেলে পুলিশ তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে পারলে ছেলে ও নাতনি পিংকীকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয়। অন্যথায় তাদের জেলে পাঠানো হবে বলে হুমকি দেয় পুলিশ। থানা থেকে ফেরার আগে ওই দিন দুপুর দেড়টার দিকে হিমাংশুর সঙ্গে সর্বশেষ দেখা করেন বাবা বিশ্বেশ্বর। ওই সময় হিমাংশু তার বাবাকে বলেন, বাবা, পুলিশ আমার কাছে এক লাখ টাকা চেয়েছে। টাকা দিলে ছেড়ে দেবে, না দিলে আমাকে ও আমার মেয়েকে জেলে পাঠিয়ে দেবে।
তবে টাকা চাওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম। তিনি বলেন, হিমাংশু থানার কক্ষে থাকা ওয়াইফাইয়ের তার গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে ওই দিন রাত ১২টায় হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের প্রাথমিক তদন্ত করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাটে পাঠায় পুলিশ।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হিমাংশু বর্মণের মৃত্যুর কারণ জানতে এবং ওই ঘটনায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়