সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও তুষার ঝড়ে নিহত ১০

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে টানা কয়েক দিন ধরে চলা ভারি বৃষ্টি ও তুষারপাতের মধ্যে পৃথক ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রদেশটির আপার দির, খাইবার ও মারদান জেলার এসব ঘটনায় আরো ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়। আপার দির জেলার মাইনা এলাকায় গত শনিবার সকালে একটি বাড়ির ছাদ ধসে এক নারী ও তার চার শিশু-সন্তান মারা যান। শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির বয়স এক বছর আর বড়টির ১২ বছর। ঘটনার পর গ্রামবাসীরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। একই জেলায় নিজ বাড়িতে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ভূমিধসে চাপা পড়ে আহত একজন কনস্টেবল হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। মারদান জেলার মুলিয়ানো গ্রামে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ছাদ ধসে একটি পরিবারের ৮ বছর বয়সি একটি মেয়ে-শিশু নিহত ও আরো পাঁচজন আহত হন। খাইবার জেলায় বৃষ্টিজনিত কয়েকটি ঘটনায় আরো তিনজনের মৃত্যু ঘটে। এতে আটজন আহত হন। প্রবল বৃষ্টিতে লানডি কোটালে বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে জিয়ারারি, চিনারোনা, মুখতারখেল, পিরোখেল ও এনজারি টপে গত শনিবার এই শীতের প্রথম তুষারপাত ঘটে।
চার দিন ধরে টানা তুষারপাতের পর গত শুক্রবার রাতে তিরাহ উপত্যকার দিকে যাওয়া সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা ঘরে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্বল্পতাও দেখা দিয়েছে। ভারি তুষারপাত ও ভূমিধসে নি¤œ ও উচ্চ দির জেলায় বেশ কয়েকটি লিঙ্ক রোড বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার রাতে শাংলা জেলার উঁচু এলাকাগুলোতেও ভারি তুষারপাত ঘটে। এসব এলাকায় তিন ফুটের মতো তুষার জমায় প্রধান সড়কগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ভারি তুষারপাত ও বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাস বইতে থাকায় গত শনিবার বিকাল থেকে শীতের তীব্রতা প্রচণ্ড হয়ে উঠেছে, এতে ওই এলাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিনে মারি ও গালিয়াত এলাকায় ৫-৬ ফুট তুষারপাত হয়। এতে গাড়িতে আটকা পড়ে মারিতে কমপক্ষে ২২ জন পর্যটকের মৃত্যু ঘটে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়