সোনারগাঁওয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি

আগের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি

পরের সংবাদ

টিএসসি ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ : জাককানইবি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাককানইবি প্রতিনিধি : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভবন নির্মাণে শিডিউল লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া প্রাথমিক নির্মাণকাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিডিউলে সিমেন্ট, রড ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোম্পানির কথা বলা হলেও মানা হচ্ছে না সেসব শর্ত। শিডিউলে বলা হয়েছে, নির্মাণকাজে বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু সরজমিন দেখা যায়, ‘কিং ব্রান্ড’ সিমেন্ট দিয়ে কাজ চলছে। এ ব্যাপারে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার শাহরিয়ার হোসেন শোভন বলেন, এটাও বসুন্ধরা গ্রুপেরই সিমেন্ট। আপাতত কয়েকশ বস্তা কিং ব্রান্ড সিমেন্ট আনা আছে, সেগুলো শেষ হলেই বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহার করব। শিডিউলে বন্দর স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমেটেড (বিএসআই) কোম্পানির রড ব্যবহারের কথা উল্লেখ থাকলেও ব্যবহার হচ্ছে অন্য কোম্পানির। বালু ও পাথর নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। সিমেন্ট, বালু ও পাথর ১ঃ১.২৫ঃ২.৫০ অনুপাতে থাকার কথা থাকলেও এটি বজায় রাখা হচ্ছে না।
শিডিউলে বলা হয়েছে, প্রজেক্টে অন্তত একজন ইঞ্জিনিয়ারের বিএসসি ডিগ্রি থাকবে এবং অন্যজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে। কিন্তু মাত্র একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দিয়েই চলছে টিএসসি ভবনসহ চারটি প্রজেক্ট। প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার শোভন বলেন, আমি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হলেও আমার অভিজ্ঞতা আছে। আমার বিএসসি চলছে। তবে যেহেতু শিডিউলে উল্লেখ আছে, তাই খুব দ্রুত একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে আসা হবে।
নির্মাণসামগ্রীর প্রয়োজনীয় টেস্ট বুয়েট থেকে করার কথা থাকলেও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকে করিয়ে নেয় নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) স্বপন কুমার শীল বলেন, যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক। আমরা বেশ কয়েকবার অবগত করেছি। কিছু নি¤œমানের বালু ও পাথর জব্দ করেছি যেগুলো আর ব্যবহার করা হচ্ছে না। অন্যান্য সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। নির্মাণাধীন টিএসসি, মসজিদ, গেস্ট হাউজ ও স্টাফ কোয়ার্টার মিলে চারটি প্রজেক্টের দায়িত্বে একজন মাত্র ইঞ্জিনিয়ার কেন- জানতে চাইলে প্রশ্নটি এড়িয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক জোবায়ের হোসেন।
সহকারী প্রকৌশলী রাহাত হাসান দিদার বলেন, সময়ের অভাবে রড, সিমেন্ট বুয়েট থেকে টেস্ট করানো সম্ভব হয়নি। দ্রুত কাজ শুরু করা প্রয়োজন ছিল তাই বাকৃবি থেকেই করা হয়েছে। বাকি সমস্যাগুলোর ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলতে পারবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমকেটি-এনএইচই (জেবি) এই ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার নিজামুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়