জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস আজ

আগের সংবাদ

উৎসবমুখর নারায়ণগঞ্জ : প্রচারণায় এগিয়ে আইভী

পরের সংবাদ

১০ দিনে সহিংসতায় ৬ খুন আতঙ্কে শৈলকুপাবাসী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : শৈলকুপায় ১০ দিনে নির্বাচনী সহিংসতায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার এমন অবনতিতে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের বগুড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আকবর খন্দকারের ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল বিশ্বাসের কর্মী কৃষক কল্লোল খন্দকার মাঠে পেঁয়াজ লাগাতে যান। এ সময় বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুলের কর্মী-সমর্থকরা তাকে অতর্কিত কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
সারুটিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুনের কর্মী কাতলাগাড়ী গ্রামের আব্দুর রহিম, কৃত্তিনগর গ্রামের হারান বিশ্বাস, অখিল ও ভাটবাড়িয়া গ্রামের জসিমসহ ৪ জনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইসার টিপুর লোকেরা। গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কাতলাগাড়ী বাজারে নির্বাচনী অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় হারান বিশ্বাস, আব্দুর রহিম, অখিল কুমার, রজব আলীসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হন। ভেঙে ফেলা হয় নৌকার অফিস ও বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ সব চেয়ার-টেবিল। আহতদের মধ্যে ওই দিন রাতেই হারান বিশ্বাস হাসপাতালে মারা যান। ২৯ ডিসেম্বর পৌর এলাকার কবিরপুর গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইকু শিকদারের কর্মী স্বপন মারা যান। তাকে ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পৌর মেয়রের লোকজন কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন।
এরপর ৩ জানুয়ারি ভাটবাড়িয়া গ্রামের নৌকার কর্মী জসিম ও মিলনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এর মধ্যে জসিম হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জানুয়ারি অখিল কুমার ও ৮ জানুয়ারি আব্দুর রহিম মারা যান। গুরুতর আহত অন্তত ৬ জন বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
অন্যদিকে ৭ জানুয়ারি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারের দুধসর গ্রামের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
একের পর এক হত্যকাণ্ড, লুটপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে উপজেলায়। এ বিষয়ে জানতে শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়