জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস আজ

আগের সংবাদ

উৎসবমুখর নারায়ণগঞ্জ : প্রচারণায় এগিয়ে আইভী

পরের সংবাদ

হোমনার কারারকান্দি-রামকৃষ্ণপুর সড়ক : বড় বড় খানাখন্দে ২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : হোমনা উপজেলার কারারকান্দি মোড় থেকে রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত এলজিআরডির ১২ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় উপজেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় অর্ধলাখ মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবড়োথেবড়ো সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ-খোয়া উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দের। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষসহ যানবাহনচালকরা।
হোমনা শিল্পকলা মোড়ের সিএনজি স্টেশনের লাইনম্যান মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এ সড়ক ব্যবহার করেই উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, শোভারামপুর, চান্দেরচর, জয়নগর কালমিনা, কৃষ্ণপুর, আসাদপুরসহ ২০-২২টি গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। প্রতিদিন কম করে হলেও এ সড়কে ৫০০ সিএনজি অটোরিকশা এবং ট্রাক-মাইক্রোবাসসহ আরো শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহন চালাতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন চালকরা। প্রতিদিনই কোনো না কোনো গাড়ি সড়কের গর্তে আটকে যাচ্ছে। সিএনজি অটোরিকশাগুলো উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন চালক ও যাত্রীরা। এই ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চালাচ্ছেন চালকরা। তিনি আরো বলেন, সড়ক খারাপ হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই সিএনজিগুলোতে যন্ত্রাংশ লাগিয়ে ঠিক করতে হয়। সিএনজিচালক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, সড়কের গর্ত অনেক বড় বড়, এতে বৃষ্টির দিনে সব সময়ই পানি লেগে থাকে। অন্য সময়ও সিএনজি উল্টে গিয়ে সিএনজি ভেঙে যায়।
অটোচালক মো. ইব্রাহিম বলেন, কম করে হলেও এই সড়কে প্রতিদিন শতাধিক অটো চলে। সড়ক খারাপ হওয়ার কারণে প্রায়ই অটোগুলো উল্টে যায়। এতে আমাদের অটোগুলো যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি এর যাত্রীসহ চালকরাও অহরহ আহত হচ্ছি। সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় লোকজন এখন অটোতে উঠতে চান না। স্থানীয় বাসিন্দা তাছলিমা আক্তার বলেন, সিএনজিতে উঠলেই মনে হয়, এখনই উল্টে পড়ে যাচ্ছে। এ সড়কে সিএনজি অটোকিশায় করে প্রতিদিন কলাগাছিয়া থেকে চান্দেরচর দাখিল মাদ্রাসায় পড়তে যাওয়া দশম শ্রেণির ছাত্রী রিমা আক্তার বলেন, সড়কের বড় বড় গর্তের কারণে সিএনজিতে উঠে ভয়ে থাকি, কখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ি। রামকৃষ্ণপুর কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইমরুল কায়েস বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে, এ সড়ক দিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে কলেজে আসতে হয়। সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। ওই কলেজের শিক্ষক মো. মনির হোসেন বলেন, সড়কের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় এ সড়কে অন্য এলাকা থেকে কেনো সিএনজি আসতে চায় না। তখন আমাদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান রেহানা বেগম বলেন, সড়কের অবস্থা অনেক খারাপ। সড়কটি সংস্কারের জন্য অনুমোদন হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম রনি বলেন, সড়কটির সংস্কার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়