জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস আজ

আগের সংবাদ

উৎসবমুখর নারায়ণগঞ্জ : প্রচারণায় এগিয়ে আইভী

পরের সংবাদ

‘অবরোধে’র মুখে রুমিন > ইসি পুনর্গঠন সংলাপ ভোট চুরি প্রক্রিয়ার অংশ : আমীর খসরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে আগামী নির্বাচনে ভোট চুরি প্রক্রিয়ার একটি অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসছে। যারা ভোট চুরি, গুম-খুন, গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা হরণের সঙ্গে জড়িত তারা পর্যবেক্ষণে আছেন।
গতকাল শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলি বাজারে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশে যাওয়ার পথে পুলিশ আশুগঞ্জেই আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। দুপুর ১২টার দিকে আশুগঞ্জ টোলপ্লাজায় সংসদ সচিবালয়ের স্টিকার সংবলিত রুমিন ফারহানার গাড়ি আটকে দেয়া হয়। এ সময় সংসদ সদস্য উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে এসেছিলাম। আমাকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। তার অভিযোগ অস্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘রুমিন ফারহানার গাড়ি আটকে দেয়া হয়নি। তাকে আমরা বলেছি, সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি আছে। সেখানে সমাবেশ করা যাবে না।’ পরে অবশ্য সমাবেশে যোগ দিয়েছেন রুমিন। তিনি সমাবেশ স্থলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশটি শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে হওয়ার কথা ছিল। তবে ওই স্থানে একই সময়ে জেলা ছাত্রলীগও ছাত্র সমাবেশ ডাকে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হায়াত-উদ-দৌলা খান। এরপর শহরের ৫০টির বেশি পয়েন্টে গতকাল ভোর থেকে ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের বাস চলাচল বন্ধ থাকে। এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে শহরে। জেলা বিএনপির ৩ নেতা জিল্লুর রহমান, জহিরুল হক খান ও সিরাজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। দুপুরে শহরের বাইরে বিএনপির সমাবেশটি হয়। এতে বিভিন্ন স্থানে বাধা পেরিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা যোগ দেন।
সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন নাকি আলোচনা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা শুরু করেছেন। কীসের আলোচনা? যারা ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮-তে ভোট চুরি করেছে- সেই চক্র আগামী নির্বাচন ভোট কীভাবে চুরি করবে সেই আলোচনা চলছে। এই আলোচনাটা মূলত হচ্ছে আগামী নির্বাচনের ভোট চুরি প্রক্রিয়ার একটা অংশ। এই চোরদের সঙ্গে আরো কিছু ‘ছেচড়া’ চোরও আছে। দেশের মানুষ নিবিড়ভাবে এই চোরদের পর্যবেক্ষণ করছে। চোরদের বলতে চাই- সেই পথ থেকে সরে আসুন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। কথায় আছে চোরের ১০ দিন আর গৃহস্থের একদিন। এই ১০ দিন পার হয়ে গেছে। এখন চোর ধরতে হবে। যেখানেই এই চোরদের দেখবেন- জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। এদের বলবেন, তুই চোর- ভোটচোর। এদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের। আরো বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, অর্থবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব ও সাবেক প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক একরামুজ্জামান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়