গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

৩৪ দিন পর কুয়েটের হলে শিক্ষার্থীরা : একাডেমিক কার্যক্রম শুরু কাল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাবুল আকতার, খুলনা থেকে : দীর্ঘ ৩৪ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) হলে ঢুকছেন শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল রবিবার থেকে সব একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি চালু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নকর্মীরা সকাল থেকে হলগুলো ধোয়ামোছা করে পরিষ্কার করেছেন। সকাল ১০টার পর পরই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ শুরু করেন। তবে প্রতিটি হলে ১০০ জন শিক্ষার্থী না হলে ডাইনিং (খাবার ) চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কুয়েট কর্তৃপক্ষ। গতকাল বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদালয়ের হলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম । রবিবার সব একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে বিধায় শনিবারের মধ্যে শতভাগ হলেই শিক্ষার্থীরা আসবেন বলে জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ৩ ডিসেম্বর থেকে ১০ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ দিন ও তৃতীয় দফায় ১৪ দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির ৪৪ পাতার রিপোর্ট দেয়ার পর ছাত্রলীগ কুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ৪০ জন ছাত্রকে বিভিন্ন সাজা দেয়া হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কুয়েটের শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেন। পরবর্তী সময়ে ১৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাসগ্রাম কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ১৬ ডিসেম্বর রাতে সেলিম হোসেনের লাশ পুনরায় দাফন করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পায়নি খুলনার খানজাহানআলী থানা পুলিশ।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সেকশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৭৮তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেয়া হয়েছে এবং ৯ জানুয়ারি রবিবার থেকে সব একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি শুরু হবে। কুয়েটের গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৭৯তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দেশনা দৃঢ়ভাবে মেনে চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। নির্দেশনার মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা বিধির ১২, ১৩, ১৪, ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারাগুলো এবং আবাসিক হলের নিয়মাবলী দৃঢ়ভাবে মেনে চলতে হবে। ছাত্রশৃঙ্খলা বিধির ১২ ধারা মোতাবেক পরিচালকের (ছাত্র কল্যাণ) পূর্বানুমোদন ছাড়া শিক্ষার্থীদের যে কোনো প্রকার মিছিল, সভা-সমাবেশসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমগুলো বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারসহ একাডেমিক এরিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমবহির্ভূত যে কোনো প্রকার ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ইত্যাদি টাঙানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কুয়েটের আবাসিক হলের নিয়মাবলীর ৩(প) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ব্যাচ বা তার পূর্ববর্তী ব্যাচগুলোর আবাসিক হলে বসবাসরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়