কাগজ প্রতিবেদক : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও ক্রেতা সংকটে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। চুক্তিবদ্ধ পেঁয়াজ না দেয়ায় এবং মান খারাপ হয়ে যাওয়ায় পণ্য কিনতে চাচ্ছেন না পাইকাররা। এছাড়া নতুন করে পেঁয়াজের শুল্কহার বাড়ায় পণ্যটি আমদানি করে লোকসানে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, মেহেরপুর, পাবনা অঞ্চলের মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে। ফলে বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। একই সঙ্গে মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আসার ফলে চাহিদা কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের। তার ওপর যেসব পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে, সেগুলোয় চারা গজিয়েছে। এ কারণে পাইকাররা এসব পেঁয়াজ কিনতে চাচ্ছেন না।
তারা বলেন, বর্তমানে বন্দর দিয়ে যেসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, অতিরিক্ত শীতের কারণে সেগুলোয় চারা গজিয়ে যাচ্ছে। ফলে তুলনামূলক কম দামেও এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা যাচ্ছে না। এতে ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এক তো পেঁয়াজ কাঁচা, তার ওপর পেঁয়াজে গাছ বের হচ্ছে। এর মধ্যেই ১ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক ৫ থেকে বেড়ে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এসব কারণে পণ্যটি আমদানি করে মুনাফা আসছে না। বর্তমানে বন্দরে ইন্দোর জাতের পুরনো পেঁয়াজ ১৮-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ জাতের নতুন ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে।
এ ব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। কিছুদিন আগেও যেখানে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো, এখন সেখানে আমদানি হচ্ছে ১৫-২০ ট্রাক। কোনোদিন আবারো ১০ ট্রাকেও নেমে আসছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।