গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

শীত ও ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব : দূরপাল্লার গণপরিবহনে যাত্রী কম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দূরপাল্লার গণপরিবহনে হঠাৎ করেই যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। তীব্র শীত ও ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে লোকজনের যাতায়াত বহুলাংশে কমেছে বলে পরিবহন কর্মীরা দাবি করেছেন। রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং অন্যান্য স্থানের বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রী না পেয়ে পরিবহন কোম্পানিগুলো বাসের সংখ্যা কমিয়ে শিডিউল পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে।
রাজধানীর ব্যস্ততম গাবতলী বাস টার্মিনালে বছরের সব সময় যাত্রীর ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ যাবত এই টার্মিনাল থেকে চলাচলরত সব গণপরিবহনের বাসে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। শ্যামলী পরিবহনের কর্মকর্তা বাবুল বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে শৈত্যপ্রবাহের কারণে লোকজনের যাতায়াত কমেছে। যাত্রী না পাওয়ায় আমাদের গাড়িগুলো সময়মতো ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। ৪০ সিটের গাড়িতে কখনো কখনো ৬/৭ জনের বেশি যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। তাই শিডিউল পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। শিডিউল পিছিয়ে দুইটি বাসের যাত্রী একটি বাসে তুলে দিতে হচ্ছে। তাতে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণেও লোকজনের বাসে ভ্রমণে কিছুটা অনিহা রয়েছে। হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার জাকির বলেন, কয়েক দিন যাবত দেশের বিভিন্ন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এ ছাড়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ভয় শুরু হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসে যাতায়াত করছে না। রাতের বেলায় যাত্রী বেশি পাওয়া যেত। কিন্তু এখন দিনের বাসেও যাত্রী মিলছে না। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গগামী সব পরিবহনের বাসেই যাত্রী সংকটের কারণে শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। ৪০ সিটের গাড়িতে ৯/১০ জন বা তারও কম যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি ট্রিপেই লোকসান গুনতে হয়। তাই সময় পরিবর্তন করে দুই বাসের যাত্রী এক করেই গন্তব্যে যাচ্ছে।
এসপি গোল্ডেন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মেহেদী জামান বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা-সাতক্ষীরা রুটে মাত্র দুটি গাড়ি ছেড়েছে। ৪০ সিটের বাসে মাত্র ১২ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি ছেড়েছে। তবে হানিফ পরিবহনের বরিশাল রুটের একটি বাস ২৮ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়েছে বলে জানান ম্যানেজার কুরবান আলী।
যশোরের যাত্রী সোহরাব বলেন, সকাল ৯টার বাস সাড়ে ১০টায়ও ছাড়েনি। একজন যাত্রী ছিলাম। কমপক্ষে ১২ জন যাত্রী না পাওয়া গেলে বাস ছাড়বে না বলে কাউন্টার থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর পান্থপথের সোহাগ পরিবহন, গ্রিনলাইন, শ্যামলী এনআর পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, সেন্টমার্টিন পরিবহনের দূরপাল্লার বাসের কাউন্টারগুলোও রাতের বেলায় বেশ ফাঁকা থাকে। কাউন্টারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার রুটের বাসগুলোতে গত সপ্তাহে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে যাত্রীর দেখা মিলছে না। শ্যামলী পরিবহন ও ডলফিন পরিবহনের খাগড়াছড়ি, বান্দরবান রুটের বাসেও আগের সেই ভিড় আর নেই। এসব বাস কাউন্টারে গত কয়েক দিনে আর আগের মতো যাত্রীর দেখা মিলছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়