গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ সরকার

আগের সংবাদ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ! জিনোম সিকুয়েন্সিং বাড়ানোর তাগিদ > সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে : বিশেষজ্ঞদের মত

পরের সংবাদ

মেজর (অব.) হাফিজ : নিশিরাতে আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে দেশের মানুষের ভোটাধিকার নেই। এই দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। অথচ আজ মানুষ ভোট দিতে যেতে পারে না। আগামীতে দেশে নিশিরাতে আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। সরকার পরিবর্তনে টানেলের শেষ প্রান্তে আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছি। বেশিদিন আর এ সরকারের আয়ু নেই। বাংলাদেশে এখন অনেক বেশি লোক রাজপথে সমাগম হচ্ছে, সাধারণ মানুষরাও আসছে। পরিবর্তন আসবেই।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ‘ফেলানী হত্যা দিবসে আগ্রাসনবিরোধী উপলক্ষে’ এক কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি এলবার্ট পি কস্তা, বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহসম্পাদক অর্পণা রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুঃখের বিষয় আমরা একটি গণতন্ত্রহীন দেশে বসবাস করছি। আজকে আমেরিকা কেন আমাদের দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে? এতে বাংলাদেশের ললাটে কলঙ্ক লেপে দেয়া হলো। এটাতে বিশ্বব্যাপী প্রমাণিত হলো নৈশ ভোটের কারিগর কারা। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে দেখেন আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হচ্ছে, নৌকার ভরাডুবি হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এত কারচুপির পরও তারা জিততে পারছে না। সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের চেহারার মধ্যে আওয়ামী লীগের চেহারা দেখতে পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধিকাংশ মুরাদ হাসান এখন পানির নিচে আছে। যখন ক্ষমতার পরিবর্তন হবে তখন অসংখ্য মুরাদ হাসানের দেখা মিলবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। কারণ, নিশিরাতে আর কোনো নির্বাচন দেশে হবে না।
ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব প্রত্যাশা করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ভারতীয় আগ্রাসন চাই না। সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে প্রতিবেশীর সঙ্গে বসবাস করতে চাই এবং বন্ধুত্ব চাই। আর তারা আমাদের শত্রæ নয়। তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে, এজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। তারা মানবতাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাহায্য করেছে তাদের চিরশত্রæ পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্য। আজকে পাকিস্তানে যেমন ভারতীয় দালাল নেই তেমনি ভারতে পাকিস্তানি দালাল নেই। অথচ বাংলাদেশে অসংখ্য ভারতীয় দালাল রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়